দেশে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পাওয়া গেছে এবং শিগগিরই তাদের এই টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য তিনি সুরক্ষা পোর্টালে নিবন্ধনের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়ছে এবং নিয়মিত প্রাণহানি ঘটছে। তাই অফিস-আদালতে মাস্ক পরতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের সর্ব বৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট করেছি। আটটি বিভাগে আলাদা বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পাঁচটি বিভাগে কাজ শুরু হয়েছে। সব বিভাগে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ ৮টি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি।’
আমরা সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কালাজ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া, সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক সময় গ্রামের পর গ্রাম মানুষ মারা যেতো। আমরা অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে দেশে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে।’
এর আগে, সোমবার (২৭ জুন) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করা লাগবে।’
উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।