১৮০ বলে ১৫ চার ও দুই ছক্কায় ১২৬ রানে ব্যাট করছেন মেয়ার্স। তার সঙ্গী কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা অপরাজিত ২৬ রানে।
প্রথম সেশনে এক পর্যায়ে ৩২ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দুই সেশন মিলিয়ে তারা নিতে পারে কেবল একটি উইকেট। শেষ সেশনে কাজে লাগাতে পারেনি দ্বিতীয় নতুন বলও।
প্রথম সেশনের শেষ দিকে ক্রিজে আসা জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও মেয়ার্সকে দ্বিতীয় সেশনে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই সেশনে ৩০ ওভারে ১১১ রান তোলে দলকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অন্য প্রান্ত মেয়ার্স অবশ্য বেশ ঝুঁকি নিচ্ছিলেন। কয়েকবার একটুর জন্য তার ব্যাটের কানা নেয়নি বল। কয়েকবার বল পড়ে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে।’ সব বল যে মাঝ ব্যাটে খেলেছেন তা নয়। তবে ঝুঁকি কাজে লাগে। তার ব্যাটে বাড়ে রানের গতি, সরে যায় চাপ। ৭৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান এগিয়ে যেতে থাকেন একই গতিতে।
চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই মেলে সাফল্য। চমৎকার এক ডেলিভারিতে ব্ল্যাকউডকে এলবিডব্লিউ করে ২১০ বল স্থায়ী ১১৬ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২১ বলে ছয় চারে ব্ল্যাকউড করেন ৪০ রান।
দা সিলভার সঙ্গে আরেকটা দারুণ জুটিতে দিন শেষ করেন মেয়ার্স। দ্বিতীয় নতুন বলে শুরুতে দুইবার একটুর জন্য স্লিপ ফিল্ডারের হাতে যায়নি তার ক্যাচ। পরে শরিফুল ইসলামকে চারের পর পুল করে ছক্কায় তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি, ১৫১ বলে। টেস্টে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথমটিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
তার সঙ্গে ১৯৪ বলে ৯২ রানের জুটিতে জশুয়ার অবদান তিন চারে ২৬ রান। ভীষণ সাবধানী ব্যাটিং করছেন স্বাগতিক কিপার-ব্যাটসম্যান। একদমই সুযোগ দিচ্ছেন না। এক প্রান্তে নির্ভরতা পেয়ে অন্য প্রান্তে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন মেয়ার্স।
শতরানে এগিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে তৃতীয় সেঞ্চুরি জুটির দুয়ারে দাঁড়িয়ে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত উইকেটের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের।