November 21, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

জাম খাওয়ার সময় যেসব সতর্কতা মানা জরুরি

1 min read

এখন জামের মৌসুম। টক-মিষ্টি স্বাদের ছোট ছোট কালো জাম দেখলেই সবার জিভে পানি চলে আসে! শুধু স্বাদে নয় বরং জামের আছে অনেক গুণ। হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে জামের।

জামে ভিটামিন সি, আয়রন, পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান আছে জামে। পেটে ব্যথা, ডায়াবেটিস ও বাতের ব্যথা সারাতে জাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

জামে ফসফরাস ও আয়োডিনের মতো খনিজগুলো একসঙ্গে থাকায় এই ফল খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে জাম খাওয়া উচিত।

জামে থাকা বিভিন্ন গুণাগুণ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও জামে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

এমনকি জামে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপদানসমূহ। যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে।

এমনকি এই ফলে ম্যালিক অ্যাসিড, ট্যানিনস, গ্যালিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড ও বেটুলিক অ্যাসিডও আছে। বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে এই ছোট্ট ফলটি কাজ করে।

জামে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার আছে, যা লিভারকে সক্রিয় করে ও হজমক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর করে জাম। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, স্বাস্থ্যের জন্য জাম কতটা উপকারী।

এবার জেনে নিন জাম খাওয়ার আগে কোন কোন সতর্কতা মানা জরুরি-

>> প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি জাম খাওয়া উচিত নয়।

>> জাম খাওয়ার আগে অবশ্যই তা লবণ-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

>> খালি পেটে কখনো জাম খাবেন না।

>> জাম খাওয়ার আগে ও পরে প্রায় দু’ঘণ্টা দুধ খাবেন না।

>> গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জাম না খাওয়াই ভালো।

>> ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই জাম অল্প পরিমাণে খাবেন।

>> ফলের পাশাপাশি জামের মধু, ভিনেগারও খেতে পারেন।

>> এছাড়া জামের পাতা ও ছাল শুকিয়ে গুঁড়া করে খেলেও উপকার মিলবে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *