অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা, তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
1 min readসীতাকুণ্ডের ট্র্র্যাজেডির পর গত রোববার রাজশাহী থেকে খুলনাগামী একটি ট্রেনে আগুন লাগে। এর আগে গত শনিবার সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও সাম্প্রতি আগুন লেগেছে একাধিক কারখানা ও ফেরীতেও। এসব অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা না-কি নাশকতা রয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
আজ সোমবার (১৩ জুন) নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উঠে আসে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো নিছক অগ্নিকাণ্ড নাকি পরিকল্পিত নাশকতা তা তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে-বিদেশে বসে তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। পদ্মা সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্প সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন হোক এটা তারা চায় না। আগামীতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তারা নতুন ছক সাজাতে পারে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে কেন একসঙ্গে একই সময় একাধিক জায়গায় থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল তা রহস্যজনক। এছাড়া প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে আগুন লাগার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এসব ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত আরেক কর্মকর্তা বলেন, একটি মহল দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে থেকে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। নানা ইস্যুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জল ঘোলার করার চেষ্টা করছে। তারা যেসব ইস্যুতে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বার্তা দিচ্ছে সেই ব্যাপারে প্রকৃত ঘটনা কি তা সাধারণ জনগণকে পাল্টা তথ্য চিত্রের মাধ্যমে জানাতে হবে। নির্বাচনে আগে বিদেশ থেকে মহলটি নানা ইস্যু নিয়ে আরও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে পারে। এছাড়া যেসব ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তা সর্ব সাধারণকে মধ্যে প্রচার করতে হবে। দ্রব্যমূল্য বাড়াতে যেন কোনো সিন্ডিকেট কারসাজি করতে না পারে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়।
বৈঠক সুত্রে আরও জানা যায়, এরই মধ্যে সীতাকুণ্ডসহ অন্যান্য এলাকায় যেসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে নানা ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির আলামত বিশ্লেষণ ছাড়াও আরও কয়েকটি সংস্থা সন্দেহভাজন কিছু বিষয় নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছে।