পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ কি মারা গেছেন?
1 min readপাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বেঁচে থাকা না থাকা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুন) নাম অনুল্লেখিত পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে ভারতের বেশ কিছু গণমাধ্যমে মোশাররফের মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয়েছে। বলা হচ্ছে, দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক।
তবে পাকিস্তানের কোনো সুপরিচিত গণমাধ্যমে পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জিও টিভি এক প্রতিবেদনে সাবেক সেনাপ্রধানকে ভেন্টিলেটরে রাখার খবর জানিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিবেদনও পরে মুছে ফেলা হয়েছে।
২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বেআইনিভাবে সংবিধান বাতিল ও জরুরি অবস্থা জারির দায়ে ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতের কাছে বিচারের জন্য সব তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়। তবে আপিল ফোরামে মামলাটি তোলার পর বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে এবং মোশাররফ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান। চিকিৎসার জন্য তাকে দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
তবে দুবাইয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি আর স্বদেশে ফেরেননি। তার কয়েক মাস পরেই পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত তাকে অপরাধী ঘোষণা করে। বারবার আদালতে হাজির না হওয়ায় পাকিস্তানে থাকা তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। বাতিল হয় তার পাসপোর্ট এবং পরিচয়পত্রও।
রাষ্ট্রদোহের ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এ ধরনের রায়ের ঘটনা ছিল এটিই প্রথম।
নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন পারভেজ মোশাররফ। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তিনি পাকিস্তানের সংবিধান বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর বিরুদ্ধে ওই সময় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। অভিশংসনের ঝুঁকি এড়াতে তিনি ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন।