বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি অক্সিজেন উৎপাদন হয় মহাসাগরে
1 min readবিশ্ব মহাসাগর দিবস আজ। প্রতি বছর ৮ জুন এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালিত হচ্ছে। আমাদের জীবনে মহাসাগরের ভূমিকা অনেক। মহাসাগরের মূল্যবান সম্পদ এবং এর পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদেরই। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ এই দিনকে সামনে রেখে তাই এসব সমস্যা তুলে ধরা এবং এগুলো থেকে সমাধানের পথ খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য।
মহাসাগরগুলো একত্রে পৃথিবীর মোট আয়তনের ৭০ ভাগের বেশি স্থান দখল করে আছে। মহাসাগরের অর্ধেকেরও বেশি জায়গার গড় গভীরতা ৩ হাজার মিটারেরও (৯,৮০০ বর্গফুট) বেশি। মহাসাগরের পানির গড় লবণাক্ততা সাড়ে তিন শতাংশ। এই বিপুল জলরাশিতে প্রায় সাত লাখ থেকে ১০ লাখ প্রাণীর আবাসস্থল। এছাড়া মহাসাগরগুলো বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করে।
২০০৮ সালের ৮ জুন থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বে ৫টি মহাসাগর- প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারতীয় মহাসাগর, আর্কটিক মহাসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর।
গ্রিনহাউজ থেকে উৎপন্ন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ শোষণ করে মহাসাগর। বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং মানব বর্জ্যসহ অন্তত ৮০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হয়। এই মানবসৃষ্ট দূষণ সমুদ্রের তলদেশের প্রাণীগুলোর জীবন-যাপন এবং তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ব্যাপক ক্ষতি করে।
এ বছর মহাসাগর দিবসে ৮টি বিপন্ন প্রায় সামুদ্রিক প্রাণীর তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন)। এসব প্রাণী বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা এখনই এ বিষয়ে সচেতন না হলে এসব প্রাণীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
বিপন্ন প্রায় এই প্রাণীগুলো হলো- গ্রেট হ্যামারহেড হাঙর, ইউরোপীয় ঈল, সানফ্লাওয়ার সী স্টার, অ্যাঞ্জেলশার্ক, স্ক্যালপড হ্যামারহেড, মহাসাগরীয় হোয়াইটটিপ হাঙ্গর, নর্থ আটলান্টিক রাইট হোয়েল এবং নাসাউ গ্রুপার।