মাকে দিয়ে ৩৭তম ব্রিজ উদ্বোধন করলেন ব্যারিস্টার সুমন
1 min readগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন ও মানুষের চলাচলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার মায়ের মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে নির্মিত ৩৭তম ব্রিজ উদ্বোধন করেছেন।
গত বুধবার (৪ মে) হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ৪নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উজ্জল পুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুতাং নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে ব্যারিস্টার সুমন ঘোষণা দিয়েছিলেন এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য অন্তত ১০০টি সেতু তৈরি করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চান তিনি।
ব্রিজ উদ্বোধনের সময় ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, যদি পৃথিবীতে একটু সময় পাই, বদলে দিবো অনেক কিছু।
তিনি আরও বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) পদ্মা সেতু বানাতে পারেন। তার কর্মী হয়ে নিজের টাকায় একটা ব্রিজ বানাতে পারি না?
‘এই কাজের জন্য আমার ঈদের আনন্দ কম হয়েছে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের ফলে কমে যাচ্ছে পুরো এলাকার মানুষের কষ্ট।’ ‘আমি মারা যাওয়ার পর যদি আমার সন্তান এই এলাকায় আসে, তাহলে তাকে তো এলাকার মানুষ অন্তত বলবে, একটা ব্রিজ বানিয়েছিল তোমার বাবা। আর ব্রিজ বানানোর উছিলায় হয়তো এলাকার মানুষ আমার জানাজায় শরীক হবে। তাদের দোয়া তো পাবো।’
বশির জেবুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অর্থায়ন করেছেন ব্যারিস্টার সুমন ও জাপানের নাগরিক মালেক। ব্রিজটি পেয়ে উল্লসিত ওই এলাকার মানুষ।
ফেসবুক লাইভে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সুমনের মা, আপন দুই বোন, ভগ্নীপতি, ভাগিনা ও ভাগ্নী এবং জাপানি মালেক। এছাড়াও নিজাম চৌধুরী, আজগর খাঁন, আফরোজ মাস্টার, ইউনুছ খাঁন, শামীম মিয়া, হারুন লস্কর, ময়না মিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
লাইভে বক্তারা ব্যারিষ্টার সুমনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তারা এলাকার দুরবস্থা তুলে ধরে উজ্জল পুরের প্রাচীন মসজিদের ঈদগাহ উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা চান।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে জাপানি মালেক ঈদগাহে এক লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় এলাকার রাস্তা মেরামতের জন্য ব্যারিস্টার সুমনের বড় বোন ৫০ হাজার টাকাও দিবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রামগঙ্গা চা বাগান এলাকায় নিজ অর্থায়নে ৩৬তম সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, আমি এরই মধ্যে ৩৬টি সেতু তৈরি করেছি এবং আরও সেতু করতে চাই। অন্তত ১০০ সেতু করে থামতে চাই। সেতু ছাড়াও আমি এলাকায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি এবং ভবিষ্যতে আরও করবো।
ওই সময় অন্যদেরও নিজ এলাকার জন্য কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে সুমন বলেছিলেন, আমি আমার এলাকার জন্য করছি। আপনিও নিজের এলাকায় কাজ করুন।