শেয়ারবাজারে ‘গতি’ ফেরাতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ
1 min readটানা দরপতন আর লেনদেন খরায় নিস্তেজ হয়ে পড়া শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
সরকারি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে সিএমএসএফ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি পাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে সিএমএসএফ’র একশ’ কোটি টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হলো।
এ বিষয়ে সিএমএসএফ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে আইসিবির মাধ্যমে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
পুঁজিবাজার বাজার স্থিতিশীলতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিধিমালা,২০২১ এর অধীনে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠিত হয়েছে।
বিধিমালা অনুসারে, সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অদাবি করা এবং অবন্টিত নগদ বা স্টক ডিভিডেন্ড, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অ-বরাদ্দ করা রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে নগদ এবং স্টকের অভিভাবক হিসাবে কাজ করে।
তহবিলে জমা করা নগদ বা স্টক যে কোনো সময়ে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের দ্বারা যথাযথ দাবির উপর ভিত্তি করে পরিশোধ বা নিষ্পত্তি করা হবে।
এদিকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল থেকে ১০০ কোটি বিনিয়োগ করা হলেও মন্দা অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস টানা দরপতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে শেষ দুই কার্যদিবসে আবার দরপতন হয়েছে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে রীতিমত ধস নামে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পারে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৭টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম কমার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় দেড়শ’ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। লেনদেনের শেষদিকে এসে এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রেতা ছিল না।