লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে বলা হয়, “তবরুক শহরে বাংলাদেশিদের একটি আবাসস্থলে ইফতারি তৈরির সময় ভয়াবহ গ্যাস স্টোভ বিস্ফোরণ ঘটে। এ দুর্ঘটনার সময় রুমে অবস্থানকারী পাঁচজন বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হলে তাদেরকে তবরুক মেডিকেল সেন্টারের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।”
আহতদের মধ্যে ঝিনাইদহের রিজনের অবস্থা গুরুতর। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
আহত অন্যরা হলেন- টাঙ্গাইলের রফিক মিয়া, মেহেরপুরের সাইদুল ইসলাম, যশোরের মো. রিপন হোসেন এবং জামালপুরের সোজাউদ্দৌলা।
বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, দূতাবাস হতে ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাংলাদেশি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে৷
রাষ্ট্রদূত শামীম-উজ-জামান বলেন, “রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন না। আমরা স্থানীয় প্রবাসী বালাদেশিদের মাধ্যমে তাদের খবর রাখছি।
”পাঁচজনের মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন। তার অবস্থা ভালো নয়, বলে আমরা জানতে পারছি।”
অগ্নিদগ্ধদেরকে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
দূতাবাস বলছে, গ্যাস স্টোভ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় দূতাবাস গভীরভাবে শোকাহত।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক করে দূতাবাস বলছে, বিগত সময়েও বাংলাদেশিদের আবাসস্থলে এইরূপ রান্নার গ্যাস স্টোভ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেক প্রবাসী হতাহত হয়েছেন।
”এ প্রেক্ষিতে লিবিয়াস্থ সকল বাংলাদেশি প্রবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, বাজারে স্বল্প মূল্যের সহজলভ্য গ্যাস স্টোভ হতে মূলত এ সকল দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটছে। এমতাবস্থায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রবাসীদেরকে রান্নার সময় এই ধরনের গ্যাস স্টোভের পরিবর্তে নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা যাচ্ছে।”