শ’খানেক জাহাজ আটকে রেখেছে রাশিয়া, বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকটের শঙ্কা
1 min readইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে গম রপ্তানি করা হয়। যা বিশ্বের খাদ্য সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বহন করে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগরে প্রায় ২০০ খাদ্য-শস্যের জাহাজ আটকে রেখেছে রাশিয়া। তবে কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই সংখ্যা ১০০’র মতো হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এমন চলতে থাকলে খাদ্যসংকট শুরু হবে বিশ্বের বহু দেশে। এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশই ইউরোপ এবং আফ্রিকায় প্রচুর পরিমাণে গম রপ্তানি করে। পরিসংখ্যান বলছে, বছরে রাশিয়া প্রায় ৩০ মিলিয়ন টন গম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। ইউক্রেন করে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন টন। এবছর তা করতে দিচ্ছে না রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরে সমস্ত দানাশস্য বোঝাই জাহাজ আটকে রেখে দিয়েছে তারা।
জার্মানির সবচেয়ে বড় কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ী সংস্থা বেওয়া জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের বন্দর থেকে এক বিন্দু দানাশস্যও রপ্তানি করা যায়নি। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে ইউরোপ জুড়ে খাদ্যসংকট শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খাবারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইউরোপের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রাশিয়া দানাশস্য এবং সার রপ্তানি করে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায়, রাশিয়া এবার তা রপ্তানি নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে খাদ্যসংকট আরো তীব্র হবে।
লড়াই শুরু হওয়ার পরেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাষিদের বলেছিলেন, যেখানে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত, সেখানে যেন চাষিরা ভুট্টার চাষ শুরু করেন। এটাই ভুট্টা চাষের সময়। কিন্তু যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করেছে, তাতে চাষিরা ভুট্টার বীজ রোপন খুব একটা করে উঠতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে না।
ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতেও খাবারের দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বহু দেশই ইউরোপের রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া রাশিয়া জাহাজ আটকে রাখায় দানাশস্য যাতায়াতের চেইনটি ভেঙে গেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষ্ণসাগরের ওই রুটটিকে বিশ্বের ব্রেড বাস্কেট বলা হয়।