তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী
1 min readগরমের তীব্রতা বেড়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৩৭ ডিগ্রি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজটও বেড়েছে রাজধানীর সড়কে। গণপরিবহনে চলা মানুষ ঘেমে একাকার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে নষ্ট হচ্ছে লাখো মানুষের কর্মঘণ্টা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। এতে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্ক, নারী, শিশু ও রোগীরা।
প্রায় দুই বছর পর আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে সশরীরে পুরোদমে দেশের সব স্কুল-কলেজে শুরু হয়েছে ক্লাস। এ কারণে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছুটে যান অভিভাবকরা। অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সকাল থেকেই হাজারো শিক্ষার্থী-শিক্ষকের যাতায়াত শুরু হয়। বাড়তি মানুষের চলাচল রাজধানীর সড়কের যানজটে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
রাজধানীর বাংলামোটর, শাহবাগ, মতিঝিল, মহাখালী ঘুরে দেখা গেছে, সব এলাকায়ই অন্যান্য দিনের চেয়ে যানজট তীব্র। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে ব্যস্ত।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাশেদ আপন নামের একজন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মী বলেন, অফিসের জরুরি কাজে যেতে হচ্ছে আশুলিয়ায়। ৩০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু বাসের দেখা এখনো মেলেনি। রাস্তায় ভয়াবহ যানজটের কারণে বিকেলের আগে আশুলিয়া পৌঁছাতে পারবো কি না, জানি না।
শিকড় পরিবহনের চালক মফিজ উদ্দীন যানজটে বাসের স্টার্ট বন্ধ করে বসে আছেন প্রায় ২৫ মিনিট। তিনি বলেন, সদরঘাট থেকে ধানমন্ডি-৩২ সিগন্যাল পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। যানজটের কারণে রাস্তায় যাত্রী থাকলেও বাসে উঠছে না। অনেকেই দীর্ঘ যানজটের কারণে বাস থেকে নেমে যাচ্ছেন।
বাংলামোটরে ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক রবিন শাহ বলেন, আজ ঢাকা শহরে এত বেশি যানজট যে, যাত্রীরা মোটরসাইকেলেও উঠছে না। সকাল থেকে তিনজন যাত্রী পেয়েছি। বেশি যানজটের কারণে সবাইকেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, যানজটও বেড়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ কিছুটা যানজট বেশি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।