খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন: রাষ্ট্রপতি
1 min readভোক্তা অধিকার সার্বজনীন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যে কোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। তাই খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ‘বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস- ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে একথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আমি ভোক্তাসাধারণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন জরুরি। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যে কোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। তাই খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আশা করি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভেজাল প্রতিরোধের পাশাপাশি খাদ্য পণ্যের মজুতদারি ও বাজার ব্যবস্থার সার্বিক তদারকিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আবদুল হামিদ বলেন, ভোক্তা অধিকার সার্বজনীন। পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভোক্তাসাধারণের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে- এ প্রত্যাশা করি।