যন্ত্রণাদায়ক নখকুনি থেকে বাঁচতে জেনে নিন পাঁচ সমাধান
1 min readএকটি যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যার নাম নখকুনি। বর্ষায় নখকুনির সমস্যা অনেকেই ভোগেন। হাতে বা পায়ের নখে এই সমস্যা হলে হাঁটাচলা বা কাজ করতে বেশ অসুবিধা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও’র ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’-এর পোডিয়াট্রিস্ট (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক) জিওরজিয়ানি বুটেক বলেন, নখের পাশের ত্বকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ফাটলের মধ্য দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এর ফলে আরও অনেক বেশি যন্ত্রণা হতে থাকে।
কখনও খুব ছোট করে নখ কাটতে গিয়ে ত্বকের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হয়। কখনও আবার কোনও কিছুতে খোঁচা লেগেও নখের কোনে ক্ষতর সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত স্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে নখকুনি মতো যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
নখকুনির ৫টি অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার-
পাতিলেবুর রস:
নখকুনি আক্রান্ত অংশে জায়গায় দু’-এক ফোঁটা পাতিলেবুর রস দিন। ২৫-৩০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
টি ট্রি অয়েল:
১ চামচ নারকেল তেলে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই তেল তুলা দিয়ে নখকুনি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন। দিনের মধ্যে দু’-তিন বার এমনটা করতে পারলে দ্রুত সেরে যাবে নখকুনি।
রসুন:
১ কাপ সাদা ভিনিগারের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ নখকুনি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
সাদা ভিনিগার:
২ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে ১ কাপ সাদা ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই ভিনিগার মেশানো পানিতে নখকুনি আক্রান্ত আঙুলটি মিনিট পনেরো ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দু’-এক দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনি।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার:
২ কাপ পানির সঙ্গে ২ কাপ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট নখকুনি আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দু’-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনি।