৬৪ কিমি দীর্ঘ সেনাবহর নিয়ে কিয়েভে হামলায় প্রস্তুত রাশিয়া!
1 min readরাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ার সামরিক কনভয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিয়ে এগিয়ে আসার তথ্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছিল।
কিয়েভ শহরের অনেকে আশঙ্কা করছেন রাশিয়ার সৈন্যরা মধ্যযুগীয় কায়দায় শহরকে অবরোধ করে রাখবে। শহরের বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি এবং জরুরি সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) বিকেলের দিকে এক বিবৃতিতে রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। এসব সামরিক স্থাপনার কাছাকাছি এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের যেসব নাগরিক জাতীয়তাবাদীদের উসকানিতে তৎপর এবং কিয়েভের এসব স্থাপনার কাছে যারা বসবাস করছেন তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণা বন্ধের লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হবে বলে দাবি করেছেন রুশ কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের কেন্দ্রস্থল ফ্রিডম চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলার পর অন্তত ১০ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও এক ডজন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খারকিভের সরকারি কার্যালয়গুলো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্রিডম স্কয়ারে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করছে, এমন একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে।
খারকিভে হামলাকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়ার ভাষণে খারকিভের কেন্দ্রস্থল ও প্রশাসনিক ভবনে রাশিয়ার হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।