পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রায় ৯৫% কাজ শেষ
1 min readদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে ভিন্ন মাত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নের প্রথম সফল মেগাপ্রকল্প ‘পদ্মা সেতু’ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য আত্মমর্যাদায়।
খরস্রোতা পদ্মার বুক চিরে দৃশ্যমান পদ্মাসেতু। গেল ১০ই ডিসেম্বর ৪১তম স্প্যান বাসানোর মধ্যদিয়ে যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়। বাস্তবে রূপ নেয় স্বপ্নের পদ্মসেতুর পুরো অবকাঠামো। কিন্তু নিজের টাকায় দেশের প্রথম কোনো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পেছনের গল্পটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন,’২০১১ সালের জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এই সময়টাই ক্রাইসিস মোমেন্ট ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখানোর কথা বলছেন। এক পর্যায়ে ২০১২ সালে তারা ঋণচুক্তি বাতিল করে।’
পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের করা দুর্নীতির মিথ্যে অভিযোগ শুধু সরকারকেই নয়- হেয় করেছিলো গোটা বাংলাদেশকেও। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আরও জানান,’তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কিন্তু আত্মসন্মান বিসর্জন কোথাও দেননি। বিশ্ব ব্যাংকে কিন্তু চালায় আমেরিকাসহ কয়েকটি বড় বড় দেশ। কিছু হুমকি ধামকি ছিলো। সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তোয়াক্কা করেননি।’
আর সে চক্রান্ত রুখে দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়কণ্ঠে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি এই প্রকল্পে যান চলাচল শুরু হলেই বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা। যোগাযোগে হবে ভিন্ন মাত্রা।
সড়ক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন,’এটি একটি স্টিমুলাস প্যাকেজ। কিন্তু তার সাথে সম্পূরক পায়রা পোর্ট হয়ে যাচ্ছে। রিজিওনাল কানেকটিভিটির আদার রাস্তাগুলি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কাজ যেটা ফ্যাসিলিটেট করা সেটা সরকার করেছে। বাকিটা কিন্তু জনগণ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
পদ্মাসেতুর সফল বাস্তবায়ন এরই মধ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। এখন যেকোনো বড় প্রকল্পে অর্থায়নে আর আগের মত একতরফা শর্ত জুড়ে দেয়ার সাহস করে না উন্নয়ন সহযোগীরা। আর বিশ্বে বাংলাদেশের এমন শক্ত অবস্থান সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই।