দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী যাত্রীর ভিড়, যানবাহনের দীর্ঘ সারি
1 min readদৌলতদিয়া ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। নদীতে তীব্র স্রোত ও পশুবাহী ট্রাকের চাপে এ ঘাটে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী যাত্রীর ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ফেরিঘাটে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এতে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
বিশেষ করে পশুবাহী ট্রাকে থাকা পশু ও খামারিদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ ও গরম বাড়ছে। এতে তারা দীর্ঘ সময় ফাঁকা রাস্তার থেকে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। এদিকে গাড়িতে থাকা পশুগুলোও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী জুট মিল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এতে পশু, যাত্রী ও চালকরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী মিলন সরদার নামের এক গরু ব্যবসায়ী জানান, তিনি রাত ৯টায় ঘাট এলাকায় এসে বসে আছেন। এখনো ফেরিতে উঠতে পারেননি। এতে গরম ও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ৮টি গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকার ফলে গরুগুলো হিট স্টক হওয়ার আশঙ্কা আছে। দ্রুত ফেরিতে উঠতে পারলে বাঁচতাম।
ঢাকা থেকে পাংশাগামী সোহাগ মোল্লা নামের এক যাত্রী বলেন, মধ্যরাত থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরপরই আমি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোর রাতেই বের হয়ে গেছি। পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পার হওয়ার জন্য অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। অবশেষে ফেরি পার হতে পেরেছি। ভোগান্তি হলেও বাড়িতে যাচ্ছি, এটাই আনন্দ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, নদীতে পানি বাড়ায় তীব্র স্রোত রয়েছে। এ ছাড়া পশুবাহী ট্রাকের চাপ তো রয়েছে। যে কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। এই রুটে ছোট-বড় মিলে ১৫টি ফেরি চলা চল করছে। এ ছাড়া পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখী যাত্রী ও পশুবাহী ট্রাকগুলো যাতে নির্বিঘ্নে পার হতে পারে, সে জন্য আরো দুটি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে।