ব্রাদার্সের জয় : ফিফটির পর রাহাতুলের ৪ উইকেট,
1 min read৫৭ রানে নেই ৬ উইকেট, দলের এমন বিপদে ব্যাট হাতে ত্রাতা হয়ে এলেন রাহাতুল ফেরদৌস। ছয় নম্বরে নেমে করলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। পারটেক্সকে হারাতে পরে বল হাতেও রাখলেন বড় অবদান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার ৩৩ রানে জিতেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়। অন্য দিকে পারটেক্সের টানা পঞ্চম হার।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে রাহাতুলের দৃঢ়তায় ৮ উকেটে ১৪৭ রান করে ব্রাদার্স। রাহাতুলেরই দারুণ বোলিংয়ে ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স।
৪৪ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করেন রাহাতুল। পরে বোলিংয়ে ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট। দুটিই তার ক্যারিয়ার সেরা। এই পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কারের জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মিজানুর রহমানকে হারায় ব্রাদার্স। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। একটু লড়াই করে একটি করে ছক্কা চারে ১৭ রান করেন মাইশুকুর রহমান।
হাবিবুর রহমান ও আলাউদ্দিন বাবু দ্রুত ফিরলে ১১ ওভার পর ব্রাদার্সের স্কোর হয় ৫৭/৬। সেখান থেকে দলকে দেড়শ রানের কাছে নিয়ে যাওয়ায় বড় অবদান রাহাতুলের। পান নাঈম ইসলাম জুনিয়রের দারুণ সঙ্গ।
দুই জনে সপ্তম উইকেটে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। চারটি চারে ২১ বলে ৩৪ রান করে নাঈম জুনিয়র ফিরলে ভাঙে জুটি। শেষ ওভারে রান আউট হয়ে থামেন রাহাতুল।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় বলে আব্বাস মুসা আলভিকে হারায় পারটেক্স। একটি ছক্কা মেরে ফিরে যান আরেক ওপেনার সায়েম আলম। তাসামুল হক, হাবিবুর রহমান ফিরে যান দ্রুত। ১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পারটেক্স।
মিডল অর্ডারে রাহাতুলের ছোবলের মধ্যে কিছুটা লড়াই করেন ধীমান ঘোষ। পনেরর বেশি রান করতে পেরেছেন কেবল তিনিই। ৩৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করে তিনি বোল্ড হন সুজন হাওলাদারের বলে।