November 25, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

সোমবার থেকে ব্যাংকে লেনদেন ১০টা-আড়াইটা

1 min read

সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে। এ সময়ে  সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চালু থাকবে।
লেনদেন পরবর্তী অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্দেশনা বহাল থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত।

রোববার (২৩ মে) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, লেনদেনের পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্য সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

জনসাধারণের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

গ্রাহকদের হিসাবে সর্ব প্রকার জমা, উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমাগ্রহণ ট্রেজারি, চালান গ্রহণ, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা, অনুদান, বিতরণ, বৈদেশিক রেমিটেন্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃশাখা স্থানান্তর, এনআবি বন্ডে এবং বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বিল গ্রহণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা, বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা-স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সব খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও সীমিত জনবল দিয়ে ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

 

About The Author