বরিশালের গৌরনদীতে পাঁচটি ককটেল উদ্ধার
1 min readবরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের সোবহান মৃধার বাড়িতে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দল আজ শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে মাটি খুড়ে মাটির নিচ থেকে একটি দই রাখার পত্রের মধ্যে লাল টেপ মোড়ানো পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করেছেন। পরবর্তীতে নিস্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দল তা নিস্ক্রিয় করেন। গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রব হাওলাদার জানান, খাঞ্জাপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন বৃহস্পতিবার মুঠো ফোনে গৌরনদী মডেল থানাকে অবহিত করেন। ওই গ্রামের হাচেন আলী মৃধার ছেলে সোবাহান মৃধার বসত ঘরের পূর্বপাশে বাথরুম সংলগ্ন মাটির নিচে বোমা পুঁতে মজুদ রাখা হয়েছে।
এ খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খোড়ার কিছু আলামত দেখতে পেয়ে স্থানটিকে লাল ফিতা দিয়ে পাহারা বসিয়ে নজর দারিতে রাখা হয়। পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দলকে অবহিত করেন। পবের্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২২ ইঞ্জিনিয়ার্স টেকনিশিয়ান বোমা নিস্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দল ক্যাপ্টেন শাতিল আহম্মেদদের নেতৃত্বে আজ শনিবার অভিযান চালান। এসময় বার্থরুমের পূর্বপাশে লাল টেপ মোড়ানো ৫টি জর্দ্দার কৌটা পাওয়া গেছে। যার মধ্যে সালফার ও ঝাকি জালের ব্যবহৃত লোহার কাঠি ছিল যা নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। বিকেল তিনটার দিকে দলের প্রধান ক্যাপ্টেন শাতিল আহম্মেদ উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, সোবহান মৃধা একজন বোমা তৈরির কারিগর। গত ২০০৫ সালে একই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে একটি শিশু আহত হয়। ধারনা করা হচ্ছে সোবহান মৃধা বোমা তৈরি করে তার হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, ককটেল উদ্ধারের বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।