রোজায় যেসব উপকার পেতে টকদই খাওয়া জরুরি
1 min readপ্রচণ্ড গরমে সবাই বেশ অস্বস্তিতে ভুগছেন। এর মধ্যেই চলছে পবিত্র রমজান মাস। দেখা গেছে, এই গরমে রোজা রাখতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া রয়েছে করোনার আতঙ্কও। এই সময় সাধারণ অসুস্থ হয়ে পড়াটাও আতঙ্কের সৃষ্টি করে। কঠিন এই পরিস্থিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া খুব জরুরি। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
তাইতো রোজায় ইফতার ও সেহরিতে রাখতে হবে পুষ্টিকর সব খাবার। যা শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। মনে রাখবেন, পেট ভরলেই কিন্তু শরীর ভরপুর পুষ্টি পায় না। তাই মুখোরোচক খাবারের বদলে রোজা ও মহামারির এই সময় পাতে রাখুন পুষ্টিকর সব আহার।
টকদই তেমনই একটি পুষ্টিকর খাবার। যদিও স্বাদে টক হওয়ায় অনেকেই টকদই খেতে পছন্দ করেন না। তবে পুষ্টিগুণের দিকটি বিবেচনা করলে বুঝতে পারবেন এটি আপনার শররের জন্য এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রোজায় যেসব উপকার পেতে টকদই খাওয়া জরুরি-
>> সেহরিতে এক কাপ টকদই খেলে রোজায় শরীরের দূর্বলতা কমবে। পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, যা এ সময় বেশি প্রয়োজন। শুধু টকদই খেতে না পারলে, এর মধ্যে বিভিন্ন ফল মিশিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও ওটস মিশিয়েও খেতে পারেন টকদই।
>> নিয়মিত দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। বেশ কিছু গবেষণায় থেকে দেখা গেছে, প্রোবায়োটিক সাধারণ ফ্লুজনিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।
>> এক কাপ টকদইতে আপনার প্রতিদিনের ফসফরাসের ৩৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের ১২ শতাংশ এবং পটাসিয়ামের ১৮ শতাংশ প্রয়োজন সরবরাহ করে। এই খনিজগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, বিপাক এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
>> টকদইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, যা স্বাস্থ্যকর দাঁত এবং হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ। এক কাপ টকদই আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের ৪৯ শতাংশ সরবরাহ করে। এতে ভিটামিন বি, বি-১২ এবং রাইবোফ্লাভিন আছে। যা হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।
>> রোজার সময় সেহরিতে টকদই খেলে পেটও যেমন ঠাণ্ডা থাকবে আবার সারাদিন ক্লান্তিবোধ অনুভূত হবে না। টকদই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং হজম উন্নতি করে।
>> টকদইতে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে ভালো ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এটি হজমের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেটের অস্বস্তিকর ভাব দূর করে টকদই।
>> এছাড়াও টকদইতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং স্বল্প পরিমাণে মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কিছু গবেষণা দেখা গেছে, দুগ্ধজাত খাবারে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। যা হৃদরোগের সুরক্ষা দিতে পারে। দুগ্ধজাত খাবারগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপই হৃদরোগের কারণ।