রমজানের রোজা ভঙ্গ করার ভয়াবহ শাস্তি
1 min readপবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন- রোজা মুমিনদের জন্য কল্যাণকর তথা উপকারী। রমজান মাসেই নাজিল করা হয়েছে কোরআন। মানুষের জন্য হেদায়েত, সৎ পথের সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা পালন করে। তবে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা অন্য সময়ে পূরণ করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মোমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের প্রতিও; যাতে করে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৩)।
ইসলামে গ্রহণযোগ্য প্রয়োজন ছাড়া রোজা ছেড়ে দেওয়া অন্যায়। রোজা ওই সব ব্যক্তির ওপর ফরজ, যারা প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন ও শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম।রোজা রাখা বা ইফতার করার ক্ষেত্রে অলসতা বা ইফতারে তাড়াহুড়ো করার কোনো সুযোগ নেই। আর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা অস্বীকার করারও কোনো সুযোগ। যদি কেউ অলসতা বশত রোজা পালন না করে, তবে তার জন্য ভয়ানক কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে। হাদিসে এসেছে, আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, একটি সম্প্রদায় উল্টোভাবে ঝুলছে! তাদের গলা ফাড়া। গলা থেকে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? বলা হলো, এরা সেই সব ব্যক্তি, যারা বিনা কারণে রমজান মাসের রোজা ভঙ্গ করেছিল। (সহিহ ইবনে খুজাইমা)
মানব জীবনে রমজান মাস ও রোজার রয়েছে বিরাট ভূমিকা। রোজা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। রমজানে ভেঙে ফেলা রোজার বিনিময় কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। একটি রোজার পরিবর্তে সারা জীবন রোজা আদায় করলেও যথেষ্ট হবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি প্রয়োজন ও রোগ ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলল, তার সারা জীবনের রোজা দ্বারাও এই কাজা আদায় হবে না, যদিও সে সারা জীবন রোজা পালন করে। (বুখারি, হাদিস : ১৮১১)
তবে কোনো ব্যক্তি যদি রোজা রাখলে তার রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়, অথবা অন্য কোনো নতুন রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা হয়, অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা হয়, তাহলে রোজা ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি রয়েছে। তবে তাকে সুস্থ হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া রোজা কাযা করে নিতে হবে।