৯৯৯-এ ফোন করে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেলেন কলেজ ছাত্রী
1 min readপিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ধর্ম খালার বাসায় বেড়াতে এসে প্রতিবেশী এক বখাটে কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন এক কলেজ ছাত্রী। এসময় ওই কলেজ ছাত্রী ৯৯৯ সহায়তা চেয়ে কল দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত বখাটে সোহেল মুন্সি (২৬) ও ধর্ষণ চেষ্টায় সহায়তার অভিযোগে কলেজ ছাত্রীর ধর্ম খালা ফিরোজা বেগম (৪৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে শহরের লক্ষ্মীপুরা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বখাটে সোহেল শহরের লক্ষ্মিপুরা মহল্লার মফিজুর রহমান (ফিরোজ) মুন্সীর বখাটে ছেলে ও ফিরোজা বেগম দক্ষিণ শিয়ালকাঠীর লিয়াকত মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া পৌর শহরে লক্ষ্মিপুরা মহল্লার হাইস্কুল সড়কে রিপন বেপারীর ভাড়াটিয়া ফিরোজা বেগমের বাসায় ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর এক কলেজ ছাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কিছু কাগজপত্র গচ্ছিত ছিলো। পিতৃমাতৃহীন দরিদ্র ওই কলেজ ছাত্রী ফিরোজা বেগমকে ধর্ম খালা হিসেবে সম্বোধন করতেন। সোমবার ওই ছাত্রী কাগজপত্র নিতে ধর্ম খালা ফিরোজা বেগমের বাসায় আসেন। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে বাসায় প্রতিবেশী বখাটে সোহেল মুন্সী (২৬) ফিরোজা বেগমের ঘরে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
এসময় মেয়েটি কৌশলে ৯৯৯ নম্বরের সহায়তা চেয়ে কল দেন। ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় লক্ষ্মিপুরা মহল্লার মোঃ মফিজুর রহমান (ফিরোজ) মুন্সীর বখাটে ছেলে সোহেল মুন্সীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় ধর্ষণের চেষ্টায় সহায়তা করার অপরাধে মেয়েটির ধর্ম খালা ফিরোজা বেগম কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগি মেয়েটি বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুইজনকে আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ এস.এম. মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।