১৮ বছরের কম বয়সী কেউ করোনার টিকা পাবে না
1 min read১৮ বছরের কম বয়সীদেরকে করোনার টিকা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। সন্তানসম্ভবা বা বিভিন্ন রোগ থাকলেও টিকা দেয়া হবে না। সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
দেশে মহামারি প্রতিরোধে টিকা আসলেও তা ১৮ বছরের কম বয়সী এবং গর্ভবতী মা ও যাদের শারীরিক সক্ষমতা নেই তাদের কখনই টিকা প্রয়োগ করা হবে না। তবে, রেজিস্ট্রেশন করতে এনআইডির প্রয়োজন হবে। কিন্তু, যাদের এনআইডি নেই তাদের কিভাবে টিকা দেয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিউট থেকে দেশে আসবে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন। পরদিন ২৬ জানুয়ারি থেকে টিকা গ্রহণের জন্য অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা টিকার আওতায় থাকবেন তাদের অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর, মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসার পর সেগুলো স্টোরেজে রাখা হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির জন্য। টিকা পাওয়ার ৭ দিন পর প্রয়োগ শুরু হবে। এ সাতদিন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। সারা দেশব্যাপী চলবে টিকাদান কর্মসূচি। চলতি বছরে ৬ মাসের মধ্যে ৩ কোটি ডোজ টিকা আসবে বলেও জানানো হয়। একজন মানুষের দুই ডোজ করে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে। একটি ডোজের ২৮ দিন পর আরেকটি ডোজ দিতে হবে। সরকার এই টিকা কিনবে।
স্লাপাইয়ারের কাছ থেকে আনার খরচসহ প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৫ ডলার। নিয়মানুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ সাতটি দেশ অনুমোদন দিলে সেটি যেকোনো দেশ ব্যবহার করতে পারবে। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো কয়েকটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। যাতে দ্রুত চাহিদা মেটানো যায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ব্লমবার্গের একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম স্থান পেয়েছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে।