April 26, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

হার্ট অ্যাটাকের পর যেসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি

1 min read

অনিয়মিত জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস কিংবা বংশগত কারণে অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের সম্মুখীন হন। হৃদযন্ত্র মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মৃত্যুও ঘটে। নিজেদের অবহেলার কারণেই দিন দিন হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপের কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়।

এগুলো মূলত হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও বোঝার উপায় থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোক হৃদরোগজনিত কারণে মারা যায়। এর মধ্যে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকসহ কার্ডিওভাসকুলার রোগে ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখা যায় যে, বিশ্বব্যাপী হার্ট অ্যাটাকে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তবে পরবর্তিতে সুস্থ থাকতে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। খাওয়া, ঘুমসহ সব কাজ করতে হবে নিয়মমাফিক। তবে হার্ট অ্যাটাকের পর আপনার কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। জেনে নিন যে অভ্যাস গড়ে তোলা আপনার জন্য জরুরি-

শরীরচর্চায় মন দিতে হবে। আগে এই অভ্যাস না থাকলেও নিয়ম করে আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা বিকেলে কিছুক্ষণ হাটুন। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।

খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনুন। ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, শস্য এবং লেবু রাখুন খাবারের তালিকায় নিয়মিত। এছাড়াও আপনার ডায়েটে মাছ, চর্বিযুক্ত প্রোটিন এবং কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাতীয় খাবারও অন্তর্ভুক্ত করুন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিনের ডায়েটে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে এই খাবারগুলো খাওয়া রাখলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

> স্ট্রেস নেবেন না। কারণ এটি আপনার শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা হৃদযন্ত্রের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। সুতরাং স্ট্রেস এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে এমন কাজগুলো করুন।

রুটিন করে পর্যাপ্ত ঘুমান। ভালো ঘুমও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য পরিচালনায় সহায়তা করে। নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমান। দিনের বেলায় না ঘুমানোই ভালো। এতে শরীরে আলসেমি আসতে পারে।

ধূমপান, মদ্যপান বাদ দিতে হবে। ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এমনকি পরোক্ষ ধূমপানও। ধূমপান আপনার রক্তে ক্লট তৈরির প্রবণতা তৈরি করে যা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। বিবাদ এড়িয়ে চলুন। কারো কোনো কিছু আপনার পছন্দ হচ্ছে না, এড়িয়ে যান। কারণ উচ্চস্বরে কথা বলা বা বিবাদ আপনার শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

About The Author