হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করবে ভেষজ ফল
1 min readহাজার হাজার বছর আগে থেকেই চিকিৎসাশাস্ত্রে ভেষজ উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে এখনকার মতো ওষুধ ছিল না। তখন মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ভরসা রাখত এসব ভেষজ উপাদানের উপর। ভেষজ উপাদানের মধ্যে অর্জুনের নাম রয়েছে সবার প্রথমে। এই গাছের অনেক গুণ রয়েছে।
বৃহদাকৃতির বহুবর্ষজীবী এই উদ্ভিদটি প্রায় ১৮-২৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। ছাল খুব মোটা এবং ধূসর বর্ণের। গাছ থেকে সহজেই ছাল উঠানো যায়। শীতের শেষেই সাধারণত গাছ নিষ্পত্র হয়ে যায় এবং বসন্তে নতুন পাতায় গাছ ভরে যায়। হার্টের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে এটি। এছাড়াও বিভিন্ন রোগের দাওয়াই এই ছোট্ট ফলটি। শুধু ফলই নয়, এই গাছের পাতা, ছালও সমান উপকারী।
চলুন জেনে নেয়া যাক এর আরো কিছু উপকারিতা-
> হৃদরোগ উপশমে অর্জুন ছাল ব্যবহৃত হয়। আবার শুকনো ফল গুঁড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। রক্তে নিম্ন চাপ থাকলে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। রক্তক্ষরণে ৫-৬ গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়।
> শ্বেত বা রক্ত প্রদরে ছাল ভিজানো পানি আধ চামট কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশম হয়।
> অ্যাজমার ক্ষেত্রে কিন্তু অর্জুন গাছের ছাল অসাধারণ উপকারী। আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়া করে দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত তাহলে এই অ্যাজমার সমস্যা অনেক কমে যাবে।
> এই গাছের ছাল মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে।
> এটি সংকোচন ও জ্বর রোধক হিসেবেও কাজ করে।
> এছাড়া চর্ম ও যৌন রোগে অর্জুন ব্যবহুত হয়। অর্জুন খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
> ত্বকের জন্যও অর্জুন গাছের ছাল খুবই উপকারী। এটি ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বকের কোষ মজবুত করে। অর্জুন গাছের ছাল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগালে তা কমে যায়। আবার এই ছালের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে মেছতার দাগও কমে যায়। অর্জুন গাছের ছাল ফেস প্যাক হিসেবে অনেকে নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন।