হারবাল চা পানেই কমবে কষ্টদায়ক হাঁপানি!
1 min readতীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। একেবারে কখনোই হাঁপানি নির্মূল করা সম্ভব নয়। এজন্য নিয়ম মেনে জীবনধারণ করার বিকল্প নেই।
হাঁপানি রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কিছুটা ধাতে আনতে চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। তবে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই অসুখ থেকে স্বস্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে কিছু ভেষজ চা ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত ভেষজ চা সাময়িকভাবে আপনাকে হাঁপানি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। চলুন তবে জেনে নিন সেসব হারবাল চা সম্পর্কে-
> গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উদ্ভিজ্জ যৌগগুলো দ্বারা পরিপূর্ণ। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি’তে থাকা এপিগ্যালোকেটেচিন গ্যালেট নামক উদ্ভিজ্জ যৌগ থাকে।
এটি ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ক্যাফেইন হাঁপানি রোগ উপশম করতে পারে। এজন্য এক কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে এক চা-চামচ গ্রিন টি পাতা যোগ করুন। এরপর চাপা দিয়ে রেখে দিন ৫ মিনিট। এবার ছেঁকে নিয়ে সেই চা পান করুন।
> একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আদায় থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান হাঁপানি রোগীদের লক্ষণগুলো কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই হাঁপানির লক্ষণ দেখা দিলে খেতে পারেন আদার চা।
এজন্য এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ আদা বাটা যোগ করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
> ইউক্যালিপটাস গাছ ওষুধি গুণাগুণ এর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কিছু উদ্ভিজ্জ যৌগ রয়েছে। যা হাঁপানির লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে।
এজন্য এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ শুকনো ইউক্যালিপটাস পাতা যোগ করুন। পাঁচ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে সেই চা পান করুন।
> যষ্টিমধুর চা যষ্টিমধু গাছের মূল থেকে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যষ্টিমধুর চা সাময়িকভাবে হাঁপানির লক্ষণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
এজন্য এক কাপ পানিতে এক চামচ শুকনো যষ্টিমধু দিয়ে দিন। সেই পানি পাঁচ মিনিট ধরে ভালো করে ফোটাতে থাকুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে পান করুন।