হাঁপানি থেকে মুক্তি দেবে এই পানীয়
1 min readএক ধরনের শুকনো ফল, যা লাড্ডস, খির বা অন্যান্য ধরনের খাবারে ব্যবহৃত হয়। চুহার খেতে সুস্বাদু তবে এর উপকারিতাও আশ্চর্যজনক শীতে দুধের সঙ্গে এটি খেলে উপকার দ্বিগুণ হয়। আসলে ভিটামিন – এ এবং বি সমৃদ্ধ খেজুর বহু রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক প্রমাণ করে। শীতে গরম দুধের সঙ্গে খেজুর খেলে কী কী উপকার হয়, চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-
হাঁপানি থেকে মুক্তি
দুটি থেকে চারটি খেজুরের আগাছা খেজুরের কার্নেলগুলো বের করে দুধে সিদ্ধ করুন। এরপরে খেজুর খাবেন এবং দুধ পান করুন। এটি ধীরে ধীরে শ্লেষ্ম সরিয়ে দেয়, যা হাঁপানিতে স্বস্তি দেয়। আসলে খেজুরের তারিখটি উষ্ণ, যাতে ফুসফুস এবং হার্টের উপকার হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
দুই থেকে চার তারিখের খেজুর নিন এবং এটি গরুর দুধে সিদ্ধ করে খান। চিনি মিশ্রিত করুন এবং যে দুধ অবশিষ্ট রয়েছে তা পান করুন। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় এটি গ্রহণ করেন তবে মাড়ি থেকে রক্তপাতের সমস্যাটি শেষ হয়ে যাবে। শুধু এটিই নয়, আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে এবং এটি আপনার প্রতিদিনের কাজে বাধা হয়ে উঠছে, তবে আপনার প্রতিদিন তিনটি খেজুর সকালে এবং সন্ধ্যায় খাওয়া উচিত। খাওয়ার পরে গরম পানি খাওয়া উচিত।এটি করে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
ত্বক এবং চুলের জন্য কার্যকর
দুধ এবং খেজুর ত্বক আর চুলের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ছে তারাও একবার খেয়ে দেখতে পারেন এই খেজুর দুধ। শরীরে এনার্জি দেয় দুধের মধ্যে খেজুর মিশিয়ে খেলে শরীর দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা এসব থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও যারা জটিল কোনো অসুখে ভুগছেন তারাও এই দুধ খেলে ভালো ফল পাবেন। পেট পরিষ্কার থাকবে।
চোখের সমস্যায়
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও এই খেজুর দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও চোখে আঞ্জনির সমস্যায়, যারা একটানা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন তাদেরও খেজুর দুধ খেতে বলছেন চিকিৎসকরা।
ওজন বাড়াতে
অনেকেই আছেন যারা ওজন বাড়াতে চান। তারা এই খেজুর দুধ খেতে পারলে বেশ ভালো। কারণ এটি খুবই স্বাস্থ্যকর। টানা বেশ কয়েক সপ্তাহ খেলে ওজন বাড়বে।
ডায়াবিটিসেও উপকারী
দুধ এবং খেজুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। এছাড়াও হাড় শক্তিশালী করে দুধ-খেজুর। মাংসপেশী তৈরি করতেও খুব সাহায্য করে দুধ।