স্থিতিশীল বাজারে পুড়ছে কৃষকের কপাল
1 min readসরবরাহের ঘাটতি না থাকায় খুলনার সবজি ও চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সবজি উৎপাদনকারী কৃষকরা আছেন বিপাকে। খেত থেকে পানির দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে সবজি।তবে ব্যাপকভাবে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আলুর আরও একদফা দরপতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। আলুর দাম প্রতি সপ্তাহে কমতে থাকায় সবজির চেয়ে আলুর দিকেই ঝুঁকছেন সাধারণ ক্রেতারা।এদিকে নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় গত সপ্তাহে চালের বাজারে দরদামে কোনো হেরফের হয়নি। খুলনার বাজারে চাহিদা সম্পন্ন জলমা ভাইটেল নামে পরিচিত আতপ চালের দাম এখনও রয়েছে আগের মতোই।শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিন খুলনার নিরালা, মিস্ত্রিপাড়া, টুটপাড়া ও রূপসা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে সবজির আমদানি গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে আলুর আমদানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে দামও কমেছে এই অতি চাহিদা সম্পন্ন এই সবজিটির (আলু)।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা রাইসুল মোল্লা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এখন বাজারে আলুর আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই বাজারে আলুর আমদানি বাড়ছে। ফলে এবার আলুর দাম তিন বছর আগের অবস্থায় গিয়ে ঠেকতে পারে।একই অবস্থা হবে পেঁয়াজেরও। কারণ দেশি পেঁয়াজ বাজারে আরও বেশ কয়েকিদন আগে উঠেছে। আবার নতুন করে এসেছে ভারতীয় পেঁয়াজ। ফলে এবার পেঁয়াজের দামও ১৫-২০ টাকায় চলে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। করোনাকালে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে। আর পুরনো দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তবে দরপতন হয়নি কাঁচামরিচের। যথারীতি সেঞ্চুরিতেই আছে এই অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা বাজার এলাকার কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, বাজারে সবজির দাম ২০ টাকার নিচে না থাকলেও খেত থেকে কৃষকরা বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা দরে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, খেত থেকে এখন আর সহজে কেউ সবজি তুলে বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। কারণ তাতে শ্রমিকের খচরও উঠছে না।একই বাজারে প্রতি কেজি ট্যাংরা মাছ (মাঝারি সাইজের) ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শোল মাছ ৪৫০ টাকা, ভেটকি ৫৮০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, পারশে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, রুই (এক কেজি সাইজের) ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাকা চিংড়ি ৪৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর পাঙ্গাশ ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং তেলাপিয়া ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে নতুন চাল আসায় গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ২-১ টাকা কমলেও সেই একই দাম রয়েছে বাজারে।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের চাল বিক্রেতা আবু বক্কর, গোলাম আলী, লিটন জানান, খুলনায় সিদ্ধ চালের চেয়ে আতপ (ভাইটাল) চালের কদর বেশি। গত দুই সপ্তাহ আগেও এই চাল খুচরা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি। এখন নতুন চাল ৫০ আর পুরতান চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ৪৮ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আতপ চালের দাম কমে যাওয়ায় অনেক ধরনের সিদ্ধ চালের দামও কমেছে বলে তিনি জানান।