সারাদেশে একদিনে ১৭২১ জনের জামিন
1 min readকরোনা সংক্রমণরোধে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সারাদেশে অধঃস্তন আদালতসমূহে তিন হাজার ৩০৭টি আবেদনের ভার্চ্যুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করে এক হাজার ৭২১ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সর্বমোট ১৪ কার্যদিবসে ৪৫ হাজার ২২৭টি মামলায় ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ২৪ হাজার ৫৯৪ জন হাজতি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। সোমবার (৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যাতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হয়েছে। রবিবার (২ মে) আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চ্যুয়ার শুনানিতে তিন হাজার ৩০৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসময় এক হাজার ৭২১ জন হাজতি অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ভার্চ্যুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধঃস্তন আদালতে একা হাজার ৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে তিন হাজার ২৪০ জন, তৃতীয় দিনে দুই হাজার ৩৬০ জন, চতুর্থ দিনে এক হাজার ৮৪২ জন, পঞ্চম দিনে এক হাজার ৬৩৫ জন, ষষ্ঠ দিনে এক হাজার ৫৭৬ জন, সপ্তম দিনে এক হাজার ৩৪৯ জন, অষ্টম দিনে এক হাজার ৫৯২ জন, নবম দিনে এক হাজার ৮৩৯ জন, দশম দিনে এক হাজার ৫৯৩ জন, এগারোতম দিনে এক হাজার ৩৯৫ জন, বারোতম দিনে এক হাজার ৪২২ জন এবং তেরোতম দিনে এক হাজার ৪১২ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়।
১৪ কার্যদিবসে সর্বমোট ৪৫ হাজার ২২৭টি মামলায় ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ২৪ হাজার ৫৯৪ জন হাজতি কারামুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৩০৮ জন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয় মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।