সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়সে ছাড়
1 min readকরোনা মহামারিতে সাধারণ ছুটিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সঙ্গে স্থগিত ছিল সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া। এ কয়েক মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পায়নি দেশের শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী।
অংশ নিতে পারেনি কোনো নিয়োগ পরীক্ষাতেও। অনেকেরই বয়স পেরিয়ে গেছে ৩০ বছর। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি চাকরির আবেদনে সুযোগ শেষ হয়ে যায় তাদের।
তবে এ দুর্যোগকালীন ৩০ বছর পেরিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের চাকরির আবেদনে পাঁচ মাসের বেশি সময় ছাড় দিয়েছে সরকার। ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হবে তারা আগস্ট পরবর্তী সময়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সার্বিক চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। পর্যায়ক্রমে অফিস-আদালত-গণপরিবহন চালু হয়। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে চলছে জনজীবন। এ অবস্থায় সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর দিলো সরকার।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ২৬ মার্চের পর মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন-জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত যে সমস্ত মন্ত্রণালয় চাকরির জন্য তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দিতে পারেনি তারা আগস্টের পর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে প্রার্থী যারা থাকবে তাদের জন্য আবেদন চাইবে যে ২৫ মার্চ তাদের বয়স ৩০ বছর হতে হবে। এটুকু দিলে তারা (চাকরি প্রত্যাশী) কনসেশনটা পেয়ে গেল।
আবেদনকারীদের জন্য এ সুবিধা গত আগস্ট মাস পর্যন্ত থাকবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগস্টের পর তো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে যে বিজ্ঞপ্তিগুলো যাচ্ছে ২৫ মার্চ তার ৩০ বছর হয়ে যাবে। তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।
সরকারি চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, চাকরির বয়স যেটা (৩০ বছর) আছে সেটাই থাকবে। শুধু যেহেতু কোভিড সিচ্যুয়েশনের কারণে ওই সময়টায় ২৬ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে, ২৫ মার্চ বয়স ৩০ বছর হতে হবে। এটা আমরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দেব।
‘তাতে যাদের বয়স পার হয়ে গেছে তারাও আবেদনটা করতে পারবে। ’
ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের বিষয়টি নিয়ে এর আগেও আলোচনা করেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জানিয়েছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন যে এভাবে করো। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থা, অধিদপ্তরে যেখানে চাকরির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ছিল তাদের সবার জন্য এটা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।