শ্রীলঙ্কায় কারফিউ প্রত্যাহার
1 min readশ্রীলঙ্কায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির পাঁচবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছেন তিনি। এর মাঝে খবর পাওয়া গেলো শনিবার (১৪ মে) দুপুর ১২ টা নাগাদ দেশটিতে জারি রাখা কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে পড়ার কারণে সোমবার (৯ মে) বিক্ষোভে জড়ো হন লাখো জনতা। সেখানে সরকার সমর্থকরা আন্দোলনকারীদের মারধর শুরু করলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। শুরু হয় দাঙ্গা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে চলা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিশেষে ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে চলে যায়। মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগ সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যায় বিক্ষুব্ধরা। আন্দোলন-বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভ উগড়ে দেয় শ্রীলঙ্কার সব শ্রেণিপেশার মানুষ।
দুই দিনের সহিংসতায় দেশটিতে নয়জন নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হন আরও তিনশ জনের মতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে দেশটির সরকার। এমনকি বিশৃঙ্খলাকারীদের দেখামাত্রই গুলি করারও নির্দেশ দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে সাধারণ মানুষের আন্দোলন-বিক্ষোভ ঠেকাতে কয়েক দফায় কারফিউ জারি করা হয় কলম্বোতে। আটকও করায় শতাধিক মানুষকে।
আন্দোলনের মুখে মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করলেও এখনো প্রেসিডেন্ট পদে বহাল তবিয়তে আছেন তার ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কাকে এবারই চরম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রার অভাব। করোনা মহামারি সামাল দিতে না পারায় আরও নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয় দেশটিতে। যার ফলে বেড়ে যায় তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাধারণ মানুষ।
দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। ৭৩ বছর বয়সী এই নেতা মঙ্গলবার পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই মন্ত্রিসভা গঠন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।