রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পর্তুগালের অর্থনীতি
1 min readদুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুমড়ে-মুচড়ে পড়েছে বিপর্যস্ত ইউক্রেন। কৃষি-শিল্পের উৎপাদনসহ আমদানি-রপ্তানির জন্য নেই কোনো পরিবেশ। অন্যদিকে ক্ষমতাধর রাশিয়ার অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানির ওপর রয়েছে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা। যুদ্ধে লিপ্ত দুই দেশের ওপর আমদানিনির্ভর দেশগুলো পড়েছে মহাবিপাকে। বিশেষ করে পর্তুগাল, ইউক্রেনের আমদানিকারক দেশ হিসেবে হুমকিতে পড়েছে চাকা।
পর্তুগাল ইউক্রেন থেকে কৃষিশিল্পের প্রধান প্রধান কাঁচামাল যেমন- ভুট্টা, রেপসিড ও অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের সিংহভাগ, ভোজ্যতেল, শিল্পের কাঁচামাল যেমন- কর্কের কাঁচামাল, লোহা-বেস, শিল্পের সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও সীমিত আকারে খাদ্যদ্রব্য আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় ইউক্রেন থেকে পর্তুগালে এসব সেটের পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে, ফলে পর্তুগালের কৃষি শিল্প ও শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, বিকল্প কোনো উপায় তৈরি না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চলেছে আমদানিখাতে বিনিয়োগকৃত বিশাল অর্থ।
ইউক্রেনে উৎপাদিত ভুট্টার প্রধান আমদানিকারক নেদারল্যান্ডস, আর তারপরেই রয়েছে ভুট্টার আমদানিকারক হিসেবে পর্তুগালের স্থান। ২০২১ সালে নেদারল্যান্ডস ইউক্রেন থেকে ভুট্টা আমদানি করে ৩৯.৭ শতাংশ ও পর্তুগাল ৩৪.৭ শতাংশ। কিছুটা অতীতের দিকে তাকালেও সে একই দৃশ্য ওঠে আসে যে প্রকৃতপক্ষে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের আগ মুহূর্ত পর্যন্তও ইউক্রেন থেকে ভুট্টা আমদানির প্রতি বছরের গড় ছিলো শতকরা ৩৪.৪ শতাংশ।
প্রধানত ভুট্টাই ইউক্রেনীয় আমদানির মধ্যে প্রধান কৃষি পণ্য ছিল যা পর্তুগালে আমদানিকৃত মোট কৃষি পণ্যের ওজনের শতকরা ৭৩.৫ শতাংশ। ইউক্রেন থেকে আমদানি করা কৃষি পণ্যের সেটে দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি ছিল অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল (প্রযুক্তিগত বা শিল্প ব্যবহার ব্যতীত), ইউক্রেন থেকে পর্তুগাল সূর্যমুখী তেলের শতকরা ৫১.৪ শতাংশ আমদানি করতো।
এছাড়াও মৌসুমভিত্তিক রেপসিড বা রেপসিড বীজ ছিল ইউক্রেনীয় কৃষি পণ্য আমদানিতে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ,এই পণ্যের মোট দেশীয় আমদানির ৩০.৬ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে।