May 20, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে ভবন ধস: ধ্বংসস্তূপে চলছে প্রাণের সন্ধান

1 min read

যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে ধসে পড়া ১২ তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপে প্রাণের সন্ধানে মরিয়া অনুসন্ধান করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংসস্তূপে এখনও প্রাণের আশা করছেন তারা।

কাউন্টি মেয়রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং নিখোঁজ ১৫৯ জন। আর সন্ধান মিলেছে ১২০ জনের।

ভবন ধসের ঘটনায় বৃহস্পতিবার একজন মারা যান। এরপর রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে বের করা হয়েছে আরও তিন মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার ভবন ধসের পর যখন সরকারি মৃত্যুর সংখ্যা হিসেব করা হচ্ছিল তখন উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনিশ্চিত প্রাণের আশায় আগুন ও ধোঁয়ার সঙ্গে লড়াই করছিলেন।

উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে প্রাণের আশা করছেন কারণ ভবন ধসের সময় ভবনের একটি দেয়াল উচু হয়ে সেখানে ‘প্যানকেকের’ মতো একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়। যেখানে আটক ব্যক্তিরা শ্বাস নেওয়ার মতো অক্সিজেন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিয়ামি কাউন্টি মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‌‘আমাদের এখনও জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা রয়েছে। উদ্ধারকারীরা আমাদের এটাই বলেছে যে তারা আশাবাদী।’

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকর্মীরা অনুসন্ধানী ক্যামেরা এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা জানতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। উদ্ধার কাজের অংশ হিসেবে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং থেকে ভবনের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে।’

এদিকে মেক্সিকো এবং ইসরায়েল থেকে উদ্ধারকর্মী দলও এসেছে সাহায্য করার জন্য। ভারী সরঞ্জাম দিয়ে ধ্বংসস্তূপের ওপরের অংশ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মিয়ামি উদ্ধারকর্মীদের প্রধান অ্যান্ডি আলভারেজ সবাইকে আশা রাখতে বলেছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, হাইতির ভূমিকম্পের সময় ধ্বংসাবশেষ থেকে আট দিন পর একটি মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

তবে ৪০ বছরের পুরোনো ভবনটি কীভাবে ধসে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি এবং ধসের সময় এতে কতজন মানুষ ছিলেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ১২ তলা এই ভবনের কিছু অংশে সংস্কারের কাজ চলছিল এবং ছাদ নির্মাণ করা হচ্ছিল।

গত বছরের একটি গবেষণায় মহাশূন্যের রাডার থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ভবনটির নিচের মাটি ১৯৯০ এর দশক থেকে দেবে যাচ্ছে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বছরে ভবনটি দুই মিলিমিটার করে দেবেছে।

বিশেষজ্ঞরা মাটির এই দেবে যাওয়াকে ভবন ধসের কারণ বলে মনে না করলেও বলছেন, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার দরকার আছে। কারণ, মাটি দেবে যাওয়ার ফলে ভবনটি কাঠামোগতভাবে দুর্বল হয়ে থাকতে পারে।

 

About The Author