মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণে অনেক সমস্যা
1 min readভিটামিন সি একটি দ্রবণীয় উপাদান। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা ঠিক রাখে। এই ভিটামিন মুখ, খাদ্যনালী, পেট এবং স্তন ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি চোখের ছানি প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। শরীরের প্রয়োজনীয় কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন। এটি দেহের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এবং রক্তনালীর কার্যকারিতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন সি সেরোটোনিন এবং নরেপাইনফ্রিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনে সহায়তা করে। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে করোনাকালে বেশিরভাগ মানুষই ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন।
তবে ভিটামিন সি দ্রবণীয় হওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া খাবারে পরিমিত ভিটামিন সি থাকে। অনেকেই এই ভিটামিন গ্রহণ করতে সাপ্লিমেন্ট সেবন করেন। অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
বেশি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে অনেক সময় তা পুরোপুরি শোষিত হয় না। তখন শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, বমি, বুক জ্বালা পোড়া, মাথা ব্যথা, অনিদ্রা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি। এছাড়াও অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
কিডনিতে পাথর: অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত ইউরিন উৎপন্ন হয়। এতে কিডনিতে পাথর জমতে শুরু করে।
পুষ্টির শোষণ: অতিরিক্ত ভিটামিন সি ভিটামিন গ্রহণ করলে শরীরে বি ১২ এর শোষণে বাঁধা দেয়। এ কারণে এই দুটি ভিটামিন গ্রহণের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ব্যবধান রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। ভিটামিন সি শরীরে কপার গ্রহণের পরিমাণও হ্রাস করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য: ভিটামিন সি কোলাজেন গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি গ্রহণ করলে শরীরে প্রোটিনের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে ভিটামিন সি উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করলে হাড়ের রোগ হতে পারে।
দ্য রাস্টিং থিওরি: ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে কোনে ধরনের আঘাত পেলে, প্রদাহ হলে এবং দৈনিক ১০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি গ্রহণ করলে শরীরে অভ্যন্তরে ক্ষতি করতে পারে।
অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, একজন প্রাপ্ত বয়সী পুরুষ দৈনিক ৪০ মিলি গ্রাম, নারী ৪০ মিলি গ্রাম, গর্ভবতী নারী ৬০ থেকে ৮০ মিলি গ্রাম, শূন্য থেকে ১ বছর বয়সী শিশু ২৫ মিলি গ্রাম, ১ থেকে ১৭ বছর বয়সীরা ৪০ মিলি গ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারেন। সূত্র: এনডিটিভি