ভারত থেকে কোনো রোহিঙ্গা আসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
1 min readভারত থেকে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। আসলেও তাদের পুশব্যাক করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, বিজিবিকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির ১৭তম সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। এদিকে শুক্রবার (২৭ মে) সকালে কক্সবাজারের রামুতে বিজিবির আঞ্চলিক সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই। সে রাজনীবিদ হোক আর সমাজের স্বনামধন্য ব্যক্তি, অপরাধী তো অপরাধীই। যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে।মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। সেই নীতি বাস্তবায়নে মাদকের কারবার বন্ধে যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে মাদকসেবীর ৮০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। এই তরুণ সমাজের অধিকাংশ নানা অপরাধে জড়িত। তাই দেশের তরুণ সমাজকে বাঁচাতে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ২৮৩ কিলোমিটার দুর্গম সীমান্ত। সে জন্য বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থল ও নদীপথে সক্ষমতা দিয়ে বিজিবি আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনে বিজিবিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আরও শক্তিশালী করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক ও কানিজ ফাতেমা আহমদ, সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ফখরুল আহসান, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজোয়ান হায়াত, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা।