ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
1 min readকৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রচুর কৃষিযন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজন এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
কৃষিমন্ত্রীর সাথে আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) তাঁর কার্যালয়ে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ কথা বলেন।কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাকরণে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর ভারত এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেজন্য, এসব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দুদেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, বিটি কটন, ভুট্টা, কাজুবাদামসহ উন্নতজাতের চারা সরবরাহ, দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করে নি, বরং অনেকক্ষেত্রে এখন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারে। তিনি বলেন, মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি, সংযোজন এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণসহ কৃষি প্রক্রিয়াজত ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সাক্ষাতকালে দুদেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, বীজ প্রযুক্তি এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।