বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম, সবজির বাজারও চড়া
1 min readবরিশালের বাজারে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও আটার দাম। সবজির বাজারও চড়া। এছাড়া বেশিরভাগ নিত্যপণ্যরে উচ্চমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার (২ জুলাই) নগরীর পোর্ট রোড ও পুরান বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।
সবজি বাজার ঘুরে জানা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম দফায় দফায় বেড়েছে। প্রতি কেজি বেগুন এখন ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, টমেটো ৩০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, চিচিঙা ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ও চাল কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলুর দাম ১ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫ টাকা বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি দরে হচ্ছে। দেশি আদা ২০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, চীনা আদা ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৬০ টাকা, চীনা রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দা ৬০-৬৫ টাকা এবং খোলা চিনি ৮০ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার ১৯৮ টাকা লিটার রাখা হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৮ টাকা। ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫ টাকা।
সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, ব্রয়লার কেজি ১৪০ ও কক বা লেয়ার ২৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফারমের ডিমের হালি ৪০ টাকা।
গরু ও খাসির মাংসের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
বাজারে আকারভেদে চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০-২৭০, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাশ ১৮০-২০০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা, আকারভেদে বাঘাইড় ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, দেশি শিং ৯৫০-১০০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর পুরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা কামরুল আহসান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘নিত্যপণ্যরে ঊর্ধ্বগতি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সবজির দামও বাড়ছেই শুধু। কমছে না কিছুই। সংসারের খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
পুরান বাজারের সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারণে পাইকারি পর্যায়ে সবজি সরবরাহ কমেছে। তাই সবজির দামে প্রভাব পড়েছে। এতে খুচরা বিক্রেতাদের কিছু করার নেই।’
নগরীর পোর্টরোড বাজারের খুচরা মুদি দোকানি জায়াত স্টোরের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আলু, আদা ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। হয়তো বন্যার কারণে। এছাড়া প্যাকেট আটার দামও বেড়েছে। অন্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।’