ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, ইলন মাস্ক মোট ২১ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের সম্পদের মালিক। বেজোসের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ১৭ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
ফোর্বসের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এক নম্বরে উঠে যাওয়ার খবর প্রকাশের পরপরই ইলন মাস্কের গাড়ি প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দাম এক লাফে ৩৩ শতাংশ বেড়ে গেছে।
এদিকে, অ্যামাজনের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে গেছে। বেজোস দাতব্য কাজে তার অনুদানও বাড়িয়েছেন বলে জানায় ফোর্বস।
ফোর্বসের তালিকায় এবার ২ হাজার ৬৬৮ জন ধনকুবের স্থান পেয়েছেন। গত বছরে তুলনায় ৮৭ জন কম। এবার ধনীদের মোট সম্পদের পরিমাণও গত বছরের তুলনায় কমেছে।
এবছর ধনীদের মোট সম্পদ ১২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ছিল ১৩ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। মহামারী, যুদ্ধ এবং বিশ্ব বাজারের অস্থিতিশীল অবস্থাকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
এ বছর প্রায় ২৩৬ জন নতুন ধনী তালিকায় প্রথমবারের মত স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে পপস্টার রিহান্নাও রয়েছেন। প্রথমবারের মত বার্বাডোজ, বুলগেরিয়া এবং উরুগুয়ের ধনকুবেররা ফোর্বসের শীর্ষ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।তালিকায় এবার সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩৫ জন ধনকুবের রয়েছেন। ৬০৭ জন ধনকুবের নিয়ে চীন দ্বিতীয়। ভারতের ১৬৬, জার্মানির ১৩৪ এবং রাশিয়ার ৮৩ জন ধনকুবের তালিকায় রয়েছেন।শীর্ষ ১০ এ স্থান পেয়েছেন ভারতের মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদের আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৭০ কোটি মার্কিন ডলার।
ফোর্বসের শীর্ষ ধনী তালিকায় স্থান পাওয়াদের মধ্যে ৩২৭ জন নারী। যদিও তাদের অনেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হয়েছেন।
নারীদের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ফ্রাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স। তার পিতামহ প্রসাধনী কোম্পানি লরিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা।
তবে তাদের মধ্যে ১০১ জন নারী নিজ যোগ্যতায় সম্পদ অর্জন করেছেন। এদের অন্যতম চীনের ফান হংউই। তিনি হ্যাংলি পেট্রোক্যামিকালের মালিক।
সেরা ১০ ধনী ও তাদের সম্পদের পরিমাণ:
১. ইলন মাস্ক: টেসলা ও স্পেসএক্স এর প্রধান নির্বাহী, ২১ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের মালিক।
২. জেফ বেজোস: অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী, ১৭ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের মালিক।