বালিশ ছাড়া নাকি বালিশে ঘুমানো ভালো?
1 min readবিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই বালিশ নিয়ে ঘুমান। তবে বালিশ নিয়ে ঘুমানোর ব্যাপারে বেশ কিছু বিষয় প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলছেন বালিশে ঘুমানো ভালো আবার কেউ বলছেন ভিন্ন কথা।শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য নয়, ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও বালিশের ভূমিকা নেহাতই কম নয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করতেই পারেন, কিন্তু মাথার নিচে বালিশ দিয়ে শোয়ার অভ্যাস বদলে ফেলুন। না হলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকদিন
বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই বালিশ নিয়ে ঘুমান। তবে বালিশ নিয়ে ঘুমানোর ব্যাপারে বেশ কিছু বিষয় প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলছেন বালিশে ঘুমানো ভালো আবার কেউ বলছেন ভিন্ন কথা।
চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকদিন একটু কষ্ট স্বীকার করলেও অবিলম্বে অভ্যেস বদলানোই ভালো। কেন বদলাবেন, তারও গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসকরাই।ব্রণ এবং বলিরেখা বালিশে মাথা দিয়ে শোয়ার ফলে গালের যে দিকটা বেশির ভাগ সময় বালিশের সঙ্গে লেগে থাকে সেখানেই আধিক্য দেখা যায় ব্রণর। কারণ হলো রক্তচাপ ও বালিশে থাকা অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়া। নরম বালিশে মাথা দেওয়ার পর মাথার ভার নির্দিষ্ট একটা জায়গায় পড়ে থাকে, ফলে মুখের ত্বকে টান পড়ে। যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে বলিরেখারও জন্ম দেয়।শিরদাঁড়ার ব্যথা, মাথা ও বাকি শরীরের তল বদলে দেয় বালিশ। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আপনার শিরদাঁড়ায়। যারা শিরদাঁড়ার ব্যাথায় কাবু তারা বালিশ ছেড়ে দিলেই এর সুফল অনুভব করতে পারবেন কিছুদিনেই।বালিশ মাথায় দিলেই ঘুম ভালো হয়, এই ধারণা কিন্তু সঠিক নয়। অনেক সময় বালিশে মাথা থাকলে ভ্রম হয় যে বালিশ থেকে মাথা গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে। শক্ত বালিশও সমস্যার সৃষ্টি করে কখনও। নানান সূক্ষ চিন্তা ঘুমকে গভীরতায় ঢুকতে দেয় না।
শিশুর চ্যাপ্টা মাথা, বালিশে নির্দিষ্ট একটি দিকে শুয়ে ঘুমোতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে শিশুরা। তাই এক দিকে শোয়ার ফলে নরম মাথাটি সে দিকটাতেই চ্যাপ্টা আকার ধারণ করে।শিশু বোঝে না তার নিজের সমস্যার কারণ ও প্রতিকার। ফলে বালিশে মুখ গুঁজে গেলে তার শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সেই কারণেও শিশুর জন্য বালিশে শোয়ার অভ্যেস খুব একটা উপকারী নয়। বরং অজান্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।একটু কষ্ট স্বীকার করলেও অবিলম্বে অভ্যেস বদলানোই ভালো। কেন বদলাবেন, তারও গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসকরাই। ছবি