বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
1 min readএকটি মেসে পরিবহন শ্রমিকদের হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে সকাল ৭টা থেকে বন্ধ আছে যান চলাচল। যানবাহন আটকে থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটারের বেশি অংশজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র জট।
হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষুব্ধরা। অবরোধ চলাকালে একটি বাসও ভাঙচুর করেন তারা। নগরীর রুপাতলী হাউজিংয়ের একটি মেসে মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা হয়। এতে আহত হন ১১ শিক্ষার্থী। তারা শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে রুপাতলী বাস স্ট্যান্ডে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে রাতে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
তারা বলেন, দুপুরের ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরেই একবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। সে সময় অবরোধের নেতৃত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহামুদুল হাসান তমালের মেসেই রাতে হামলা চালানো হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের একটি দল তমালকে মারতে গেলে খবর পেয়ে আশপাশের মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা সেখানে যায়। সে সময় হামলায় আহত হন ১১ জন। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সার্জারি বিভাগে তারা চিকিৎসাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে রাতেই তিনি অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন।
রাতেই ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। সকাল থেকে আবারও শুরু হয় তাদের অবরোধ। দফায় দফায় মহাসড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় ওই রুটের যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার বাড়ি যাওয়ার জন্য বিআরটিসি কাউন্টারে যান। সেখানে রফিক নামের একজন বাস স্টাফের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সজলকে ছুরিকাঘাত করেন রফিক। লাঞ্ছিত করা হয় ফারজানাকে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বেলা ২টা থেকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা হয় বিআরটিসির বাস কাউন্টারও।
ওসি জানান, হামলার অভিযোগে রফিককে আটকও করা হয়েছে। রাতে শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।