বরিশালের বাকেরগঞ্জের কলেজ অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে নাম-পরিচয় সহ তথ্য গোপন করে মিথ্যে অভিযোগে দু’দফা সাংবাদিক সম্মেলন করেন এক গৃহবধু
1 min readবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক কলেজ অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রহস্যময় ধর্ষন মামলা নিয়ে নানামুখী প্রশ্নের সৃস্টি হয়েছে। ফাতেমা আক্তার (২১) নামক এক গৃহবধু বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে অধ্যক্ষ কর্তৃক ধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাদের (৪৫) দাবী কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে ঘায়েল করতে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে। এমনকি কথিত ধর্ষিতা ফাতেমা আক্তার নিজের নাম-পরিচয় ব্যবহারেও তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফাতেমা আক্তার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই কবাই ইউনিয়নের লক্ষীপাশা ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের ওহাব আকনের মেয়ে এবং মো. মাসুদের স্ত্রী ও ৭ বছর বয়সী শিশু সন্তানের জননী। তবে গত ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষন মামলায় তিনি নিজ নামসহ স্বামী ও সন্তানের তথ্য গোপন করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম রুমানা আক্তার। তিনি মাছুয়াখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খন্ডকালীন স্বাস্থ্যকর্মী দাবী করেছেন। তবে ঐ প্রতিষ্ঠান লিখিতভাবে জানিয়েছে, তাদের কোন খন্ডকালীন কর্মী নেই।
কথিত ধর্ষন মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, গত ২০১৮ সালের ২২ মার্চ বাকেরগঞ্জ শহর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ইজিবাইকে অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মোবাইলে তাদের মধ্যে কথাবর্তার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তাকে বিয়ে করার এবং শিক্ষগতযোগ্যতা অনুযায়ী কলেজে চাকুরী দেয়ার প্রভোলন দেখিয়েছেন অধ্যক্ষ। তারা পটুয়াখালী শহর ও সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলে একাধিকবার রাত যাপন করেছেন। সর্বশেষ গতবছর ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টায় অধ্যক্ষ শহিদুল ফাতেমা আক্তারের বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষন করেছে। পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তিনি গত ২২ জুন ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
সোমবার বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত ১০ জুন বরিশালে বিয়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করার পর বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে মামলা দায়ের করেছে। অনৈতিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হলেও পুলিশ মামলায় ওই বিষয়টি উল্লেখ করেনি। ফাতেমার অভিযোগ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. মমিন উদ্দিন মামলাটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পায়াতারা করছেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম রুমানা আক্তার গোপন রেখে ফাতেমা আক্তার নামে মামলা করার কারন জানতে তিনি দাবী করেন, তার আরেকটি নাম ফাতেমা। স্বামী-সন্তান থাকার পরও অনৈতিক সম্পর্কে জড়নো থাকার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভূল আমিও করেছি, তিনিও করেছেন, আমি তার বিচার চাই’।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না পর্যন্ত মামলার অভিযোগের সত্য-মিথ্যা বিষয়ে কিছু বলা যাবেনা।