ফাইনালে নাজমুল-মাহমুদউল্লাহ একাদশ তামিমের বিদায়
1 min readবিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে তামিম একাদশকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নাজমুল একাদশ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ৭ রানে জিতে রাউন্ড রবিন লিগের চার (ডাবল লেগের) ম্যাচের তিনটিতে জিতে সবার ওপরে থেকে ফাইনালে উঠলো শান্তর দল। অন্যদিকে সমান খেলায় ২ জয়ে রিয়াদ বাহিনীরও ফাইনাল নিশ্চিত হলো। একমাত্র জয় নিয়ে বিদায় নিল তামিম একাদশ।
মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে তামিম একাদশকে সাত রানে হারিয়েছে নাজমুল একাদশ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ৪১ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। আগে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দারুণ বোলিংয়ে ১৬৫ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। ডিএল মেথডে তামিম বাহিনীর টার্গেট ছিল ১৬১; কিন্তু ৪১ ওভারে ওই টার্গেটও ছুঁ’তে পারেনি তামিম একাদশ। ১৫৬ (৪০.৪ ওভারে) রানেই থেমে গেছে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এনামুল হক বিজয়ের (৭) উইকেট হারায় তামিম একাদশ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ইকবাল ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে আর চাপে পড়তে দেয়নি। তামিম দলীয় ১০১ রানের মাথায় ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর একে একে ব্যাটসম্যানরা বিদায় নিলে ১৪৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তামিমের দল।
এরপর ২৯ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন। শেষ ওভারে জয়ে জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। সৌম্য সরকাররের করা ৪১তম ওভারটি আর ১৫ রান তুলতে পারেননি সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রানে অল আউট হয় তামিম একাদশ। নাজমুল একাদশের তাসকিন আহমেদ চারটি এবং আল আমি হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান সৌম্য সরকার (৭), পারভেজ হোসেন ইমন (১০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৫)। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন দলের চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৪ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হয়। ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪১ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।
মুশফিক ও আফিফ ৫০ রানের জুটি গড়েন। ৭৪ বলে ফিফটি করার পরের বলেই দলীয় ১১৫ রানের মাথায় আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান মুশফিক (৫১)। ভাঙে ৯০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। তবে এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় রান করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। তামিম একাদশের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন পাঁচটি, মোস্তাফিজুর রহমান তিনটি ও শেখ মেহেদি হাসান দু’টি উইকেট নেন