প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা অপরিহার্য: মোস্তাফা জব্বার
1 min readডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষা সভ্যতার বাহন। এখন সময় ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরির। প্রাথমিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে যুদ্ধের ধ্বংস স্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেছিলেন।
প্রযুক্তি দুনিয়ার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক অধিদফতর ও নগদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম বক্তব্য রাখেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, উপবৃত্তি প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে অভাবনীয় ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি বৃত্তির এই টাকা মায়েদের হাতে পৌঁছে দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখছে।
শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ১৯৯৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষাকে ডিজিটাল রূপান্তরে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, প্রাথমিকে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
তিনি ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে শিশুদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আমাদের সন্তানরা খুবই মেধাবী। তাদের একটু পরিচর্যা করলে তারা রোবটিক, আইওটি, বিগডাটা বা ব্লকচেইন প্রযুক্তি সহজে আয়ত্ব করতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপবৃত্তি দেওয়ায় প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়া রোধ হয়েছে। উপবৃত্তির টাকা সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরে মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদ্বয়ের উপস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও নগদের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএম মনসুরুল আলম এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।