প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে ফরচুন বরিশাল
1 min readটস জিতে বল করতে নেমে ফরচুন বরিশালকে ১৪৩ রানে আটকে দিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের কাছে ৯ রানে হেরে যায় কুমিল্লা। এতেই প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালের টিকিট কাটে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের যথার্থ দেখিয়েছিল কুমিল্লার বোলাররা। বরিশালকে ১৪৩ রানে আটকে দিয়েছিল তারা। তবে তখনও সাকিব আল হাসানের দলের অর্ধেক ইনিংস বাকি। ১৪৩ রান ডিফেন্ড করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সাকিব আল হাসানের দলের বোলারদের। প্রথম উইকেট তুলতে অপেক্ষা করতে হয় ইনিংসের ১১তম ওভার পর্যন্ত। কুমিল্লার স্কোবোর্ডে তখন ৬২ রান, মেহেদি হাসান রানা বল হাতে এসে মাহমুদুল হাসান জয়কে বোল্ড করে এনে দেন বরিশালকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু।
৩০ বলে ২০ রান করে জয় ফেরার পর সাকিব আল হাসানের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে কুমিল্লাকে চেপে ধরে বরিশাল। ৬২ রানে শূন্য উইকেট থেকে ৬৮ রানে ৩ উইকেটের দলে পরিণত হয় কুমিল্লা। এর মধ্যে দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৫ রানে আর লিটন দাস ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরলে চাপে পড়ে কুমিল্লা। শফিকুল ইসলাম এক ওভারেই তুলে নেন লিটন এবং ইমরুলকে।
এরপর মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে ফেরান ফাফ ডু প্লেসিস। তবে মঈন আলী ১৫ বলে ২২ রান করে দলীয় ১০৪ রানে ফিরলে আবারও চাপে পড়ে কুমিল্লা। এদিকে দুর্দান্ত বল করে কুমিল্লার ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন বরিশালের বোলাররা। শফিকুল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। আর সেখান থেকেই ঘুরে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
ব্যাট হাতে খুব বেশি কার্যকর না হলেও বল হাতে অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে বসেছিলেন ডুয়েন ব্রাভো। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা মঈন আলীর উইকেটটি। এরপর শেষ দিকে মেহেদি হাসান রানা ৩ ওভারে ১৫ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট এতেই শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের দরকার হয় কুমিল্লার।
সাকিব আল হাসান বল তুলে দেন মুজিব উর রহমানের হাতে। শেষ ওভারে প্রথম বলেই মহিদুল ইসলাম অংকনকে তুলে নেন মুজিব। এরপর সুনীল নারিন একটি ছক্কা হাঁকিয়ে স্বপ্ন জাগালেও এক বল পরেই তাকে তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মুজিব।
শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে কুমিল্লা। আর বরিশাল পেয়ে যায় ৯ রানের দুর্দান্ত জয় সঙ্গে ফাইনালের টিকিট।
সংক্ষিপ্ত ফলাফল:
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভার; ১৪৩/৮; (মুনিম ৪৪, গেইল ২২, শান্ত ১৩, সাকিব ১, জিয়াউর ১৭, তাওহিদ ১, ব্রাভো ১৭, সোহান ১১, মুজিব ৬*, রানা ০*); (নাহিদুল ১-০-১৬-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৮-০, নারিন ৪-১-১৬-১, তানভির ৪-০-৩৩-১, মঈন ৪-০-২৩-২, শহিদুল ৩-০-২৫-৩)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯.৩ ওভার; ১৩০/৬; (লিটন ৩৮, জয় ২০, ইমরুল ৫, ডু প্লেসিস ২১, মঈন ২২, নারিন ১৭, অংকন ১, নাহিদ ১*, শহিদুল ০*); (মুজিব ৪-০-৩৩-২, শফিকুল ৪-০-১৬-২, সাকিব ৪-০-২৭-০, ব্রাভো ৪-০-২৬-১, রানা ৩-০-১৩-২, শান্ত ১-০-১৩-০)
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল ৯ রানে জয়ী।