‘পেট্রোবাংলা’ পরিচালনার বিধান রেখে সংসদে বিল
1 min readজনস্বার্থে ও বাণিজ্যিক বিবেচনায় করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) পরিচালনার ক্ষমতা পরিচালনা পরিষদকে দেওয়াসহ দেশ ও বিদেশের যে কোনো উৎস, ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন আইন ২০২২’ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে বিলটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি উত্থাপনের আগে ‘বডি করপোরেট’ ও ‘হোল্ডিং কোম্পানি’র স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি অ্যাক্টের ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে উত্থাপিত আপত্তি গ্রহণ করেননি নসরুল হামিদ। পরে বিলটি সংসদের সম্মতির ভিত্তিতে উত্থাপিত হয়।
‘পেট্রোবাংলা’ আইন ১৯৮৯ এর ভিত্তি আইন ‘বাংলাদেশে অয়েল গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন (বিওজিসি) অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধিত ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিলের অধ্যাদেশ বলে সম্পাদিত ‘পেট্রোবাংলা’ সব কার্যাবলীর বৈধতা ও সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিলে করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনকালে ‘জনসেবক’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, বিলে পরিচালনা পরিষদ জনস্বার্থে বাণিজ্যিক বিবেচনায় এর দায়িত্ব পালন করবে ও সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে। বিলে শেয়ার হস্তান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। করপোরেশনের শেয়ারসমূহ সরকারের অনুমোদনক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এছাড়া অধীনস্থ কোম্পানি থেকে লাভ, ফি ও চার্জ আদায় করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ও এর পরিশোধিত মূলধন হবে দুইশ কোটি টাকা। সরকার গেজেট দ্বারা মূলধনের পরিমাণ বাড়াতে ও কমাতে পারবে। করপোরেশন সরকারের ভর্তুকি সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি-বিদেশী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আ অন্য কোনো উৎস বা ব্যক্তি হতে ঋণ বা অনুদান নিয়ে মূলধন বাড়াতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ অয়েল অ্যান্ড গ্যাস করপোরেশন (বিওজিসি) ও বাংলাদেশ মিনারেল এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে (বিএমইডিসি) একীভূত করে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (বিওজিএমসি) গঠন করা হয়।
পরে ১৯৮৯ সালে আংশিক সংশোধনের মাধ্যমে এই করপোরেশনকে ‘পেট্রোবাংলা’ নামে নামকরণ করা হয়। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে তৈল, গ্যাস ও খনিজ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের উদ্দেশ্য গঠিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বরের মধ্যে জারিকৃত বিলুপ্ত অধ্যাদেশসমূহরে মধ্যে যেসব অধ্যাদেশ আবশ্যিক বিবেচিত হবে সেগুলো সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। ‘বাংলাদেশে অয়েল গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন (বিওজিসি) অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধন ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন’ শীর্ষক আইন খসড়া বিল প্রণয়ন করা হয়েছে।