পায়রা বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী
1 min readপায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কর্ম পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গণভবন থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ একনেকের বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন হাজার ৯৮২ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি ২০১৯ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার তা সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। পাশাপাশি প্রকল্প ব্যয় ৫৩৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে চার হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা করা হয়।
পায়রা বন্দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের টোটাল ওয়ার্ক প্লান আগামী সভায় উপস্থাপন করতে বলেছেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এক বছর আগে অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্প কেন সংশোধন ও সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হলো জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল রশিদ বলেন, এ ধরনের বড় প্রকল্প সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বেলজিয়াম ও ডেনিশ প্রতিষ্ঠান দেখলো সেখানে ৪০ হাজার টন বহনের সক্ষমতা সম্পন্ন যে বড় বড় জাহাজ ভিড়বে এবং তাতে যে ওয়েভ সৃষ্টি হবে আরসিসি পিলার তা টলারেট করতে পারবে না। এজন্য স্টিল স্ট্রাকচারের পাইপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য খরচ বেড়েছে। এছাড়া আন্ধারমানিক ব্রিজের দৈর্ঘ্য ও পাইল বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও খরচ বেড়েছে। আর ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে একনেকেও আলোচনা হয়েছে। তবে ডিটেইল ফিজিবিলিটি স্টাডি তখন হয়নি। কাজ করতে গিয়ে বাস্তবতার নিরিখে অনেককিছু ধরা পড়ে যা ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে ধরা পড়ে না।
এ প্রকল্পের কাজ সময়মত শেষ হবে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশন সদস্য বলেন, দুই বছরে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬/৭ শতাংশ হয়েছে বাকি ৯৩/৯৪ শতাংশ সামনে কীভাবে হবে? এ প্রশ্ন একনেক সভায়ও উঠেছে। তবে আমাদের ডিজাইন হয়ে গেছে। এখন শুধু মাঠে নেমে কাজ করা। সুতরাং দুই বছরে এ কাজ করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।