নেইমারদের হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপা জিতলো বায়ার্ন
1 min readরাতটা কোনোভাবেই নেইমারের ছিল না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে খেলার সঙ্গে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। সেই সহায়তাটাই শেষ পর্যন্ত পেলেন না নেইমার অ্যান্ড কোং। দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা তৃতীয়বারের মত জিতে নিলো বায়ার্ন মিউনিখ। বিপরীতে ইতিহাস গড়া হলো না ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির।
ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা এবং ম্যাচের মধ্যে যে কয়টি সুযোগ পেয়েছিলেন, সেগুলোও ঠিকমত কাজে লাগাতে না পারার দুঃখ-বেদনায় পুড়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র।
মোট কথা, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার। সেই ব্যর্থতা তার হৃদয়-মন ছুঁয়ে গেছে। ম্যাচ শেষে এগুলো কাঁটার মত বিঁধছিল তার হৃদয়ে। যে কারণে, ফাইনালের পর অঝোর ধারায় কাঁদলেন নেইমার।
ফাইনালের প্রথমার্ধেই, ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে দেখা গেছে, নেইমার একেবারে ওয়ান-টু-ওয়ান বল পেয়ে গিয়েছিলেন গোলের। কিন্তু তার শটটি অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। এরপর পুরো ম্যাচেই এমবাপে, ডি মারিয়া, মার্কুইনহোসদের দিয়ে অনেকবার গোল করার জন্য বল তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বায়ার্নের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন সবাই
১৯৮৭ সালে ভিয়েনার মাঠে পোর্তোর কাছে ইউরোপিয়ান কাপের (অধুনা চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনালে হেরে যাওয়া বায়ার্ন দলের সদস্য ছিলেন ফ্লিক। কোচ হিসেবে বায়ার্নের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হারতে তিনি চাননি। আর উল্টোদিকের জার্মান কোচ বায়ার্নের কাছে শুধু হারছেন আর হারছেন। দুই বছর আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ডাগআউট ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগে বায়ার্নের কাছে হেরেছেন নয়বার, জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে যা সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড। টমাস টুখেল পিএসজিকে ইউরোপীয় গৌরবের আলোয় ভাসানোর পাশে এটাও খুব করে চেয়েছিলেন যে বায়ার্নকে অন্তত একটা হার ফিরিয়ে দেবেন। হলো না। আসলে বায়ার্ন দলটি এমনই যন্ত্রের মতো নিখুঁত যে তাদের হারানো সহজ নয়।