নদী ভাঙনে হুমকির মুখে বরিশাল বিমানবন্দর সহ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা
1 min readবরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সন্ধা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বরিশাল বিমানবন্দর। ইতোমধ্যে নদীভাঙনে ওই উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের ব্লক ও বেড়িবাঁধের প্রায় এক হাজার ফুট অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষুদ্রকাঠি-দোয়ারিকা গ্রামের সংযোগ সড়কের প্রায় ৪০০ ফুট ডেবে গিয়েছে।
বরিশাল বিমানবন্দরের উত্তর প্রান্তের রানওয়ের বর্ধিতাংশের জমি তীব্র ভাঙনের মুখে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে হাজার কোটি টাকার বরিশাল বিমানবন্দর ও প্রস্তাবিত নতুন বিমানঘাঁটি।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রথীন্দ্রনাথ চৌধুরী নদীভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন বলে জানা যায়। গত ১ বছর মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে কেদারপুর, বাবুগঞ্জ খেয়াঘাট, মোল্লার হাট বাজার, বড় মিরগঞ্জ, ছোট মিরগঞ্জ, সৈয়দ মোশারফ রাশিদা একাডেমি, আবুল কালাম কলেজ সংযোগ সড়কসহ বেশ কিছু স্থাপনা বসতবাড়িসহ আবাদি জমি ।
এছাড়াও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতু, রাজরু, মিরগঞ্জ বাজার মসজিদ,সরকারী আবুল কালাম কলেজ, পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠি গ্রাম, চরসাধুকাঠি মাদ্রাসা, ফরিদগঞ্জ মাদ্রাসা, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর, মরহুম আব্দুল মাজেদ হাওলাদারের বাড়ি। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ও বরিশাল শহরের সচেতন মহল বিমান বন্দর রক্ষায় বাবুগঞ্জে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হলে অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হবে বরিশাল বিভাগের একমাত্র বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ।