দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা ইইউ’র
1 min readবাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
চার্লস হোয়াইটলি মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে যান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিদর্শনকালে তিনি স্বেচ্ছাসেবক, দলীয় কর্মী এবং সরকারি সংস্থা যারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা সভা করেছেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত প্রধানত মৌসুমি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সহনশীলতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশের দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং উত্তরাঞ্চলে বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।
গত সাড়ে ১৩ বছরে তার সরকারের আমলে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ অবশেষে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ লাভ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ইইউ দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য- এ বিষয়টি উল্লেখ করে ‘এভরিথিং-বাট-আর্মস (ইবিএ) ইনিশিয়েটিভ’ আকারে ইইউ’র অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকারের প্রশংসা করেন। তিনি বাণিজ্য-সম্পর্কিত বিষয়ে ইইউ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য তার সরকারের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সবুজ গার্মেন্টস শিল্পের প্রশংসা করেন এবং এলডিসি থেকে বাংলাদেশের সাবলীল উত্তরণ কামনা করেন।
তিনি আশ্বাস দেন, ইইউ’র নতুন জিএসপি রেগুলেশন এরই মধ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএসপি+ সুবিধার জন্য বাংলাদেশের বিষয়টি বিবেচনা করেছে।
এসময় শেখ হাসিনা জানান, তিনি ২০২৯ সালের পরও ইইউ’র অব্যাহত সমর্থন পাওয়ার জন্য আশাবাদী।
ইইউ’র প্রতিনিধিদলের প্রধান করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইইউ বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনে সহায়তা করছে। শিগগির এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য তারা কিছু বাস্তব পন্থা খুঁজছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পর ক্যাম্প এলাকা আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে এবং স্থানীয় জনগণের দ্বারা এই অঞ্চলকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে তার সরকারের।
পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, উদ্বোধনের পর এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিঃসন্দেহে খুব বেশি হবে কারণ এসব জেলা ব্যাপক শিল্পায়নের কেন্দ্র হয়ে উঠবে, যার জন্য আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বন্দর সুবিধা নির্মাণের প্রয়োজন হবে।