রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুটি ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের একটি রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের শুনানি হবে রোববার। গত ৫ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ১২ জুন দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি আজ শুনানির জন্যে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রয়েছে।
৫ জুন আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল। এছাড়া বিএনপির অন্যান্য আইনজীবীরা আদালতে শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। ওই সময় করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। গত ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ জোবায়দার এ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এর পরে ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়।